হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

গ্রীষ্মকাল আসতে অনেক দেরী। সবেমাত্র শীতকাল শুরু হয়েছে। এখন থেকেই শুরু হয়েছে খাবার পানির সংকট। টেকনাফের আবহাওয়া অফিসের দক্ষিণে কাজীর অফিসের পার্শ্বে আংশিক পৌরসভা অলিয়াবাদ ও আংশিক টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার ১১০ পরিবারে যুগ যুগ ধরে খাওয়ার পানির ব্যবস্থা হয়নি।

জানা যায়, প্রসিদ্ধ গ্রাম অলিয়াবাদের গরীব মানুষদের গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহারের ও খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের অনেক দূরে গিয়ে গোসল ও খাবার পানি সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। যুগ যুগ ধরে এ দুর্ভোগ থেকে স্থায়ী পরিত্রান পাচ্ছেনা। এমনও দেখা গেছে, ওই হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষগুলি অর্থের অভাবে পানি কিনতে না পেরে অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করে খাবার পানির অভাব পুরণ করছে।

টেকনাফ পৌরসভা কাউন্সিলর দিলরুবা খানম বলেন ‘আমাদের কোন গভীর নলকুপ ও পাতকুয়া না থাকায় খাওয়ার পানি ও ব্যবহারের পানির অভাব দেখা দিয়েছে। আমরা যুগ যুগ ধরে ১১০ পরিবার খাওয়ার ও ব্যবহারের পানি নিয়ে খুবই কষ্ট পাচ্ছি। বর্ষাকাল আসলে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে সেগুলো খাবার পানি ও ব্যবহারের পানি হিসেবে ব্যবহার করি। কিন্তু বর্তমানে এলাকায় কোন বিশুদ্ধ পানির টিউবওয়েল, পাতকুয়া, গভীর নলকুপ না থাকায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে’।

এলাকার বাসিন্দা মো আলাউদ্দিন ও রহিমা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ‘এ গ্রামটি চরম অবহেলিত এলাকা। কারণ স্বাধীনতার ৪ যুগ পরেও এ গ্রামে আজ পর্যন্ত পানির ব্যবস্থা হয়নি। এলাকার লোকজন এখন খাওয়ার পানির জন্য খুবই সমস্যায় দিনযাপন করছেন। যাঁদের সামর্থ আছে, তাঁরা ভ্যানওয়ালার কাছ থেকে প্রতি গ্যালন ১৫-২০ টাকা দরে পানি কিনে খাচ্ছেন। যাদের সামর্থ নেই তাঁরা কলস নিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটেন বেড়াচ্ছে পানির খোঁজে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন ‘টেকনাফ উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় খাওয়ার পানির সংকট আছে সেটা অস্বীকারের কিছুই নেই। গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে এই সংকট নিরসন করা সম্ভব। আবার কোন কোন স্থানে গভীর নলকুপেও পানি পাওয়া যায়না। পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ইসলাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো শাহজাহান মিয়া ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করা হবে’।