আব্দুর রশিদ, বাইশারী :

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে জুমার নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে মারধরের শিকার হয়ে রক্তাক্ত হলেন মসজিদের খতিব।

০১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের করলিয়ামুরা দারুসসালাম জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার মসজিদের খতিব মাওলানা ছৈয়দ নুর (৫৫) হলুদ্যাশিয়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীরা জানান, করলিয়ামুরা দারুসসালাম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ছৈয়দ নুর জুমার নামাজে কোরআন ও হাদিসের আলোকে ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ’ নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি এলাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের অশ্লীল নাচ-গান থেকে নিজেদের দূরে থাকার আহবান জানান। এতেই স্থানীয় বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদের খতিবকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম ও পরিধেয় কাপড় ছিড়ে ফেলেন।

মসজিদের খতিব মাওলানা ছৈয়দ নুর বলেন, আমি কারো নাম ধরে জুমার নামাজের পুর্বে আলোচনা করেননি। আমি শুধু এলাকার সামগ্রিক বিষয়ের উপর আলোকপাত করে এলাকাবাসীকে ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের’ ব্যাপারে অনুরোধ জানাইছি মাত্র। তিনি আরো বলেন, নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে কিছু বুঝার আগেই আমাকে এলোপাড়ি লাঠি, ঘুষি মারতে মারতে রাস্তার ধারে খেজুর গাছের নিচে ফেলে দেয়। এতে এলাকার লোকজন উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বাইশারী বাজারে নিয়ে যায়। তার সাথে আমার কোন পূর্বশত্রুতা নেই। এদিকে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

খবর পেয়ে বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম, বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত এসআই সৌরভ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার নিস্পত্তির জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বলেন। যদি নিস্পত্তি করতে ব্যর্থ হয় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ইমামকে পিটানোর ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা তীব্র নিন্দা ও শাস্তি দাবী জানান।

প্রসঙ্গত গত সোমবার অভিযুক্ত সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলামের বিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। ঐ সময় তিনি বাড়ীতে নাচ-গানের অনুষ্ঠান করেছিলেন। হয়ত তার জন্য আলোচনাগুলো করেছেন বলে ক্ষুব্ধ হয়ে ইমামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিমত।