মোঃ আবুল কাসেম রামু , ঈদগড় :
কক্সবাজার সদর ও রামুর মধ্যবর্তী ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে ইসলামাবাদ গজালিয়া এলাকায় যানবাহন থামিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই ব্যক্তিকে অপরণ করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল। অপহৃতরা হল- নুরুল আমিন (৩৫), হেলাল উদ্দিন (২০)। তারা দুইজনই ঈদগড় ইউনিয়নের বাইতুশ শরফ এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।অপহরনের ১৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও অপহৃতরা উদ্ধার হয়নি। তাদের পরিবার সূত্রে সন্ত্রাসীরা অপহৃতের মোবাইল ফোন থেকে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করছে । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদগাঁও থেকে ঈদগড় যাওয়ার পথে সিএনজি ও ১টি মোটরসাইকেল ব্যারিকেড দেয়। ১০/১২ জনের জন সশস্ত্র ডাকাতদল যাত্রীদের মারধর করে নগদ ২৫/৩০ হাজার টাকা, মোবাইল,প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে যায়।সিএনজির অপর এক যাত্রী আব্দুল্লাহ জানান,তাকেও অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় কৌশলে সে পালিয়ে আসে।
সিএনজিতে থাকা তার দুলাভাই নুরুল আমিনকে অপহরন করে।অপহৃত হেলাল উদ্দিনের চাচাত ভাই সাবেক মেম্বার বেলাল উদ্দিন জানান,তার ছোট ভাই জরুরী কাজ সেরে ঈদগাঁও থেকে মোটর সাইকেল যোগে ঈদগড়ে আসার পথে উল্লেখিত স্থানে অপহরণের শিকার হন। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুইয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটি টিম পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে। ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত এ এস আই মোরশেদ আলম জানান, আমাদের পাহাড়ে উদ্ধার অভিযান চলছে । স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান আর কত লোক অপহরণ হলে আমরা এই জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এই পর্যন্ত অপহৃতদের মুক্তিপণ ছাড়া কাউকে প্রসাশন উদ্ধার করতে পারেনি। উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর রাতে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পানের ছড়া ঢালা থেকে অপহরণকারীরা ঈদগড় ঠুটার বিল এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ রুবেলকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়। আলোচিত এ সড়কে ধারাবাহিকভাবে ইদানিং ডাকাতি, অপহরণ বেড়ে গেলেও অপহরণকারীরা প্রশাসনের হাত থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। স্থানীয় যাত্রী সাধারণ অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে যৌথ অভিযানের দাবী জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।