আগামী শনিবার (২ ডিসেম্বর) যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
২১ নভেম্বর থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হয়। সে অনুযায়ী ১২ রবিউল আউয়াল হবে শনিবার।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া ‘কালিমা তায়্যিবা’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শন করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ২৮ নভেম্বর সভা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ভারপ্রাপ্ত সচিব আনিছুর রহমানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জা করা হবে। এছাড়াও সারাদেশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা,সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ,বেসরকারি সংস্থাসমূহে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার দিবসটির যথাযোগ্য গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। শিশু একাডেমি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। দেশের সব হাসপাতাল,কারাগার,সরকারি শিশু সদন,বৃদ্ধ নিবাস,মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহে যথাযথভাবে দিনটি পালন করা হবে। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।