মো: ফারুক, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা এলাকায় কুকুরের কামড়ে পাঁচ শিশু শিক্ষার্থীসহ সাত জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহত সবাইকে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৮নভেম্বর) সকাল নয়টায় ঘটনাটি ঘটে।
আহতেরা হলেন, পূর্ব মেহেরনামা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কপিল উদ্দিনের পুত্র মোঃ শাকিব (১০), নুরুল হোছাইনের মেয়ে তাছিন(৭), গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে নিশাত (১১), আবুল শামার পুত্র মোঃ ইয়াসিন (৯), পথচারী মহিলা নুর মুহাম্মদের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪৫), নাজেম উদ্দিনের তিন বছরের পুত্র মো: হামিম ও মেহেদী হাসানের স্ত্রী খুকি বেগম (২৩)।
আহতেরা জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরে একটি পাগলা কুকুর এলাকায় সাধারণ জনগনকে কামড়ানোর চেষ্টা করছিল। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার সময় এলোপাতাড়ি কামড় দিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করে। ওই সময় স্থানীয়রা কুকুরটিকে মারার চেষ্টা করলে পালিয়ে যাওয়ার সময় আরো দুই মহিলা ও তাদের সাথে থাকা ৩বছরের শিশুকে কামড় দিয়ে আহত করে। তবে স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করেও কুকুরটিকে মারতে পারেনি বলে জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবী পেকুয়া উপজেলায় বিচ্ছিন্নভাবে থাকা বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে সরকারীভাবে নিধন করা হউক।
পেকুয়া সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহিম জানান, কুকুরে কামড় দেওয়া সাত রোগিকে সরকারীভাবে চিকিৎসা ও ভেকসিন দেওয়া হয়েছে। সবার ক্ষতগুলো অনেক বড় বড়। এমনকি ৩ বছরের শিশুকে চোঁখে কামড় দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। কামড়ের ক্ষতগুলো দেখে মনে হয়েছে পাগলা কুকুরের কামড়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।