মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার নিকটবর্তী লামা উপজেলাধীন ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে খোলাবাজারে বই বিক্রির অভিযোগে তিন বস্তা সরকারী বই উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ইউনিয়নের গুলিস্তান বাজার উম্মেহাতুল মুমিনীন লিতালিমিল বানাত মহিলা মাদ্রাসা থেকে বইগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২৩ নভেম্বর মাদ্রাসার ২জন কোমলমতি ছাত্রীকে দিয়ে প্রায় ২০-২৫ কেজি সরকারী পাঠ্যপুস্তক (নতুন বই) কেজি দরে বিক্রি করতে দোকানে পাঠায় মাদ্রাসার সহ-সুপার তৈয়বা বেগম। চোরাই বই বিক্রির কাজে মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগে জানায় স্থানীয় লোকজন। বিক্রয়কালে সরকারী বই দেখে স্থানীয়রা বাধা দিলে ও জানাজানি হলে তারা বইগুলো পুণরায় ফেরত নিয়ে যায়।
এসময় কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকার লামা প্রতিনিধি মোর্শেদ আলম ছবি তুলতে গেলে তাকে গালমন্দ ও হুমকি দেয় মাদ্রাসার সহ-সুপার তৈয়বা বেগম। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, তোকে আমি মানুষ দিয়ে পিটালে কি হবে। বেশি চালাক হয়ে গেছ। সরকার আমাদের টাকা ছাড়া বই দেয় না। আমরা কিনে আনছি ২ হাজার টাকা দিয়ে। এখন নিয়ে এসেছি পরে বাইরে বিক্রি করব। আমরা বিদেশি টাকা দিয়ে মাদ্রাসা চালায়। অথচ মাদ্রসার একটি ভবন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি করে দিয়েছেন।
বই উদ্ধার বিষয়ে সত্যতা জানিয়ে লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উম্মেহাতুল মুমিনীন লিতালিমিল বানাত মহিলা মাদ্রাসাটি সরকারী নিয়ন্ত্রিত বা অনুমোদিত নয়। সরকারী বই খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ সত্যতা পাওয়ায় তিন বস্তা বই জব্দ করা হয়েছে এবং এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।