জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া কুমিরাঘোনা বড়হাতিয়া বনবিট অফিসের দক্ষিণ শিকারীর ফাঁদে ২টি বন্য হাতির মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন বড়হাতিয়া বনবিট কর্মকর্তা মো: ইউনুস মিয়া। ঘটনাটি ২৪ নভেম্বর দিনগত রাতে ঘটে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, ঘটনাস্থলে প্রতিদিন বন্যপ্রাণী শূকর শিকার করতে একটি চক্র বৈদ্যুতিক শর্ট ব্যবহার করে। ঘটনারদিন তাদের ফাঁদে পড়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ২ বন্যাহাতির মৃত্যু হয়। স্থানীয় আবুল হোসেন বলেন, শনিবার সকালে ধানী জমিতে ২টি হাতি মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পায়। একটি বন্যপ্রানী শিকার চক্রের ফাঁদে পড়ে হাতি ২টির মৃত্যু হয়। হাতি দুটি মা-বাচ্চা। ঘটনাটি এলািকায় ছড়িযে পড়লে উৎসুক জনতার ভিড় হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুনতি ফরেস্ট রেইঞ্জ র্কমকর্তা, বড়হাতিয়া বনবিট কর্মকর্তা, লোহাগাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এমডি জোনাইদ চৌধুরী বলেন, স্থানীয় বড়–য়া পাড়ার কয়েকজন লোক বন্যশুকর শিকার করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ফাঁদ পাতে। ওই ফাঁদে বন্যহাতি দুটি স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। তবে কারা এ ফাঁদ পেতেছিল তা জানাতে পারেননি তিনি।
স্থানীয়রা বলেন, হাতিগুলো বন্যশুকরের ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবার সঠিক সময় জানা যায়নি। তবে রাতের যে কোন সময় হাতি ২টি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজন মৃত হাতি ২টিকে দেখতে পান। তারা আরো বলেন, হাতি দু’টির মধ্যে একটি বড় ও আরেকটি বাচ্চা হাতি।
লোহাগাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো: বেলায়েত হোসেন বরেলন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এব্যাপারে একটি মামলা হবে। প্রশাসন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্ঞা গ্রহণ করবেন।
বড়াহতিয়া বনবিট কর্মকর্তা মো: ইউনুস মিয়া বলেন, হাতি ২টির ময়না তদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে, হাতি মারা যাবার সংবাদ শুনে শত শত লোক ওই এলাকায় ভিড় জমায়। বনবিভাগের লোকজনও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে । তবে মৃত হাতি ২টি কি করা হবে তা এখনো জানা যায়নি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।