গোলাম মওলা রামু :
কক্সবাজার রামুর রাজারকুলে বন বভিাগরে পাহাড় কেেট মাটিপাচারসহ ভূমি দখলে মেতে উঠেছে বন বিভাগরে কতপিয় ব্যক্তির যোগসাজসে চট-পলিথিনের ঘেরা দিয়ে । পাহাড় কেটে মাটি পাচার, ভূমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। র্বতমানে নির্বিচারে পাহাড় কাটার কারণে ছাগলয়িাকাটা এলাকাটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ ভারসাম্য। পরিবেশ-প্রতিবেশ সংকটাপন্ন করে রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ছাগলিয়াকাটা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ অপতৎপরতা চললে ও প্রশাসন বা পরিবশে অধিদপ্তররে চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজনসহ পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা। রাজারকুল রেঞ্জে র্কাযালয়ের এক-দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বন বিভাগের জায়গায় পাহাড় কাটা হচ্ছে। যদি বন বিভাগের লোকজন জড়িত না থাকলে, তাহলে কি করে ছাগলিয়াকাটা এলাকার পাহাড়গুলো এত সহজে কাটা পড়ছে? এ প্রশ্ন সচেতন মহলের।
অনেকদিন আগে থেকে রাজারকুল রেঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চলছে পাহাড় কাটা। অভিযোগ উঠেছে ,পাহাড় কেটে সাবাড় করছে রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়ন ও রাজারকুল ইউনিয়ন থেকে নির্বিচারে অবৈধভাবে বনের গাছ ও পাহাড় কাটা হলেও প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরে আসতেছেনা । জানাগেছে, দু-ইউনিয়নে একদিকে পাহাড় কেটে বাড়ি তৈরী করেছে হাজার হাজার । অপর দিকে রাজারকুল রেঞ্জ অফিসের দুইশ গজ এর ভিতরে দুটি স-মিল ও আপরুজু বিট অফিসের আওতাধীন বনের ভিতরে পাহাড় কেটে আরো একটি স-মিল বসিয়ে দিন রাত বনের গাছ নিধন করে যাচ্ছে গাছ চোরেরা।বর্তমানে গর্জন বাগান নাই বললেই চলে আপরুজু বিটে কিছু জাম গাছের বাগান ছিল তা গাছ চোর সন্ত্রাসীরা কেটে পাহাড়ের ভিতরে স-মিল বসিয়ে চিরায় করে বিক্রি করছে প্রকাশ্যে দিবালোকে।সংরক্ষিত বন বিভাগের পাহাড় আর সরকারি বাগানের গাছ কেটে পিক আপ গাড়িতে করে দিনের বেলায় আরকান সড়ক দিয়ে দারিয়ার দিঘী বিট ,আপরুজু বিট, রাজাকুল রেজ্ঞ অফিস,ও বিট অফিসের সামনে দিয়ে রামু চৌমুহনী দিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যাচ্ছে।যখন এলাকার সচেতন ব্যাক্তিরা অভিযোগ করে বলেন,বনবিভাগের অফিসের কর্মকর্তারা অশিকার করে বলে আমাদের বিটে কোন জায়গায় পাহাড় কাটা ও গাছ কাটা হচ্ছে না।সরকারি বন বিভাগের জায়গায় বাড়িঘর নির্মাণ করলেও তা আমরা অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছি।স্থানীয় সাধারণ জনসাধারণের অভিযোগে উঠে আসে ,রামু রাজারকুল নতুন পাড়া,পাজ্ঞাখানাসহ খুনিয়া পালং ইউনিয়নের সরকারি জায়গায় পাহাড় কেটে যে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে তাদের থেকে দালালদের মাধ্যমে বন বিভাগের কর্মকর্তারা হাতি নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। দালালের কথা না শুনলে বন বিভাগের লোকেরা নিজেই হাজির হয়ে হুমকি দেয় টাকা দেওয়ার জন্য।গ্রামের সাধারণ অসহায় মানুষ ভয়ে তাদেরকে টাকা দিতে বাধ্য হয়। টাকা নেওয়ার পরে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে একটি বন মামলা রুজু করে বন কর্মকর্তারা।তারা আরো বলেন,প্রথমে এসে বাড়ি ঘর ভাঙ্গার শুরু করে অপরদিকে দালাল এসে কানে কানে বলে টাকা দিলে বাড়ি ভাঙ্গা বন্ধ হবে।তাই অপারগ হয়ে টাকা দিতে হয় বন বিভাগের লোকদের।টাকা হাতে নিয়ে বলে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি তৈরি করে পেল।বাড়ি কাজ যখন শেষের দিকে তখন আবার খবর দেয় উপরস্ত স্যারদের ম্যানেজ করতে আরো টাকা লাগবে বাড়ি নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখ। সব মিলিয়ে গরিবের কপালে একটি সরকারি বন মামলা সারা জীবন কষ্টের বোজা বহন করতে হবে।সচেন মহল মনে করেন ,প্রথমেই আপনারা স্থাপনা নিমার্ণে বাধার সৃস্টি করতেন সাধারণ মানুষেরা এ জুলুমের শিকার হতনা।বনের জায়গায় অবস্থান রত মানুষেরা মনে করেন তাদের বাপ দাদার বিটায় বাড়িঘর করবে এতে দূষের কি আছে। যখন জানতে পারে এটা সরকারি জায়গা তখন তারা ভয়ে যে যা বলে সেটাই করে।তাদের মতে,প্রকাশ্যে দিবলোকে যারা সন্ত্রাসী কায়দায় পাহাড় কেটে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করছে এবং বনের ভিতর পাহাড় কেটে অবৈধ স-মিল বসিয়ে বনের গাছ নিধন করছে সেইসব প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্থির ব্যবস্থা করা হউক।গাছ ও পাহাড় কাটা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পাহাড় ও বাগানের গাছ কাটায় জড়িতদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গোপনে বন বিভাগের কর্মকর্তারা সহযোগিতা করে অবধৈ ভাবে পাহাড় কেটে ইট ভাটায় মাটি বিক্রির জন্য ,এতে এলাকায় জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।এদের বিরুদ্ধে এলাকার দারিদ্র জনসাধারণ ভয়ে কিছুই বলতে পারছে না।
রাজারকুল রেঞ্জের বন বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার ফলে দ্বিগুণ উৎসাহে দিনে-দুপুরে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে একটি প্রভাবশালী চক্র।
পাহাড়কাটা গুরুতর অপরাধ জানা সত্বেও রামুতে পাহাড় কাটাকে কেউ অপরাধই মনে করছে না। পাহাড় কাটা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর জানার পরেও নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধ হচ্ছেনা।
রামুর পরিবেশ প্রেমিদের মতে, পাহাড় কাটা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পাহাড় কাটায় জড়িতদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে। এ কাজে সহযোগিতাকারী বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক।