সালাম কাকলী :

মাতারবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ রাজঘাট বাজারটি এখন উচ্ছেদ হওয়ার আশাঙ্খায় ঐতিহ্যবাহী চাউলের আরতদার মোহাম্মদ হোছাইন কালা সও: সহ অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীরা মাথায় হাত দিয়েছে। দোকানের জায়গার মালিকদের ৩ ধারা নোটিশ দেয়ায় বাজারের ব্যবসায়ীদের এই দু:চিন্তা দেখা দিয়েছে।

মাতারবাড়ী দক্ষিণ রাজঘাঘ এলাকার ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ী জালাল আহমদের পুত্র মোহাম্মদ হোছাইন কালা আমাদের এ প্রতিনিধিকে জান্ন সাগর ও নদী ঘেরা কোহেলিয়া নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত দক্ষিণ রাজঘাট বাজারটি এতদাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বাজার। এই বাজার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমার পিতা জালাল আহমদ চাউলের আড়ৎ করে আসছিল। কিন্তু আমার পিতা বৃদ্ধা হওয়ার পর আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আড়তে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা করে আসছে। অর্থাৎ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কবির আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক রুহুল ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ থেকে ইউপি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করে নিয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থায় জাইকা কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রথমে ২০১৪ সালে মাতারবাড়ী দক্ষিণ অঞ্চল থেকে ১৪১৪ একর জায়গা অধিগ্রহণের কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু করে। প্রায় ঐ প্রকল্পে শতকরা ৮০ ভাগ টাকা ইতি মধ্যে জমিদের মালিকদেরকে দেয়া কাজ শেষ করেছে। কিন্তু ঐ সমস্ত জমিনে চাষাবাদকারী ও দালাল সহ ১৪ স্থরের পেশার লোকজনের তালিকা তৈরী করে তাদেরকে ক্ষতিপূরণের টাকা পূর্ণবাসন সহ সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য সুশিলন নামের একটি এন.জি.ও এর মাধ্যমে জাইকা তালিকা তৈরী করে। ঐ তালিকা গ্রহণ করার পর ঢাকা থেকে ইতি মধ্যে কক্সবাজার অফিসসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে পৌছা হয়েছে বলে সূত্রে প্রকাশ। এই অবস্থায় হঠাৎ জাইকা তাদের গাড়ী পার্কিং এর জন্য একটি স্টেশন করার উদ্দেশ্য দক্ষিণ রাজঘাট বাজারটি অধিগ্রহণের ইতি প্রথামিক কাজ শুরু করেছে। এমনকি দোকানের জায়গার মালিকদের ৩ ধারার নোটিশও ইতিমধ্যে দেয়া শুরু করেছে। এই নোটিশ পাওয়ার পরপরই অত্র বাজারের ব্যবসায়ীদের মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান অর্থাৎ বাকী অবস্থায় আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে ৪০ লাখ টাকার পূজি রানিং অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া এ বাজারের মালামাল আনা নেওয়ার জন্য মাতারবাড়ী টু চট্টগ্রাম জলপথে আমার শেয়ার সহ কয়েক শেয়ারের যৌথ উদ্যোগে একটি কার্গো সার্ভিস রয়েছে। এ বাজারটি বিলুপ্ত হলে উক্ত সার্ভিসটিও বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আমি সহ অত্র বাজারের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে নিশ্চিত। বেশি ভাগই আমি লোকসানের সম্মুখিন হব। এ বাজারটি উচ্চেদ হলে ফ্লিডে থাকা প্রায় ৫০ লাখ টাকা অনাদায়ী হবে এতদাঞ্চলে খেটে খাওয়া লোকজন থেকে। এতে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা। আমার মত আরো বহু ব্যবসায়ীদের এ অবস্থা হবে। অন্যদিকে লবণ মাঠ অধিগ্রহণ করার আমার লবণ ব্যবসা বন্ধসহ ৩টি লবণের কার্গো ট্রলার এখান ঘাটে পচে-ঘলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লবণ ব্যবসা ও কার্গো ট্রলারের আয় বন্ধ হবার পর আমি অন্তত ২০ লাখ টাকা ঋণ মাথায় নিয়ে সংসার চলানোর তাগিদে কোন প্রকারে এই চাউলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি জাইকা কর্তৃপক্ষ, মাননীয় জেলা প্রশাসক, সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক ও চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ সহ সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানাচ্ছি যে, জায়গার মালিকদের অধিগ্রহণের নোটিশ দেওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরী করে আমাদেরকে পূর্ণবাসন সহ ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।