গত ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদী, পূর্বকোণ, সুপ্রভাত বাংলাদেশ এবং কক্সবাজার জেলা থেকে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইনে “টেকনাফে মোটর সাইকেলসহ ৩৯ হাজার ইয়াবা নিয়ে যুবক আটক” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ সংবাদে সাবরাং পানছড়িপাড়ার মো : আলী প্রকাশ আলুগোল্ল্যার ছেলে শামসুল আলমকে আটক দেখানো হয়েছে। এই সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমাকে কোনদিন গ্রেফতার করেনি, আমি ইয়াবার ব্যবসার সাথে জড়িত নেই, আমি সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান-১, গেল ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রতিপক্ষরা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মামলার বিবরণে প্রকাশ বিগত ১১/১১/২০১৭ ইং তারিখে সাবরাং পুরান পাড়া এলাকায় বিজিবি টহলরত অবস্থায় মোটরসাইকের আরোহীকে সংকেত দিলে সে গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যায় এবং গাড়ি থেকে ৩৯ হাজার ৯৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করেন। যাহার মামলা নং- ২১/৮১৮ ধারা ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধনী-২০০৪)১৯(১) এর টেবিল ৯ (খ)। এঘটনায় একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে এবং সাবরাং এর আলী আহমদের ছেলে শামসুল আলম নামে একজনকে পলাতক আসামী করা হয়েছে। ঐ মামলায় মোটরসাইকেলের জব্দ তালিকায় ১৫০ সিসি মডেলের একটি পালর্সার মোটরসাইকেল, যার ইঞ্জিন নং- DHGBUK 61215, চেসিস নং- MD2 DHDZZUCK90208, রেজিষ্ট্রেশন নং কক্সবাজার ল- ১১-১৯১৮ দেখানো হলেও জব্দকৃত গাড়িটির মত হুবহু আমার একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। এ সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা আমার মোটরসাইকেলের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারটি ঐ চোরাই মোটরসাইকেলে ভূয়া নাম্বার হিসেবে ব্যবহার করায় আমার নামের সাথে মিলিয়ে ইয়াবা মামলায় পলাতক আসামী করিয়েছে। তবে ঐ মোটরসাইকেল সাথে আমার নামীয় মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার ভিন্ন এবং আমার নামে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সর্পোট অথরিটি(বিআরটিএ) এর মূল কাগজপত্র রয়েছে।যার চেসিস নং- MD2A11CZXCCF13614, ইঞ্জিন নং- DHZCCF20217,রেজিষ্ট্রেশন নং কক্সবাজার- LA-11-1918। রেজিষ্ট্রেশনের তারিখ :০৬/০৩/২০১৩ইং। এই মোটরসাইকেলটি এখন আমি ব্যবহারও করছি এবং আমার বাড়িতে রয়েছে।
বিজিবি কর্তৃক জব্দকৃত মোটরসাইকেলটির (যাহা বর্তমানে টেকনাফ মডেল থানায় জমা আছে) আমার মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন নাম্বার, চ্যাসিস নাম্বার কোন মিল নেই। আমার নামে রেজিষ্টেশনকৃত মোটরসাইকেলের নাম্বারটি ষড়যন্ত্রকারী ইয়াবা পাচারকারীরা কৌশলে চোরাইকৃত মোটরসাইকেলের ভূয়া হিসেবে ব্যবহার করে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। প্রশাসন এ বিষয়ে অনুসন্ধান করলে প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী কারা তাদের রহস্য বের হয়ে আসবে। আমি এ মিথ্যা সংবাদে প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
মো : শামসুল আলম
ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ,টেকনাফ।