শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন প্রিন্স এর নেতৃত্বে রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ১৬ নভেম্বর মাগরিবের পরপরই ঈদগাঁও বাজারের সন্নিকটস্থ জালালাবাদ ইউনিয়নের তেলীপাড়া, বাজার পাড়া, হাদেইম্যারচরে এ অভিযান পরিচালিত হয় এবং অভিযান চলে টানা রাত সাড়ে ৯ টা’ পর্যন্ত। ৩ টি টিমে ভাগ হয়ে সদর ইউএনও’র নেতৃত্বাধীন এ অভিযান পরিচালনা করেন। ঈদগাঁওতে এই প্রথম এধরনের অভিযান পরিচালিত হলো। অভিযান চলাকালে নতুন পুরাতন মিলিয়ে ৬ নারী ৬ শিশু এবং ২ পুরুষসহ ১৪ রোহিঙ্গাকে আটক করতে সক্ষম হয় রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযানে গঠিত বিশেষ ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযান চলাকালে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের এসআই দেবাশীষ সরকার, এএসআই মহিউদ্দিন, এএসআই নসিম উদ্দিনের নেতৃত্ব পুলিশ, আনচার ব্যাটেলিয়ান, ইউনিয়ন পরিষদ সমুহের গ্রাম পুলিশগণ, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এবং এলাকার একদল সচেতন যুবক আদালতকে বিশেষভাবে সহায়তা করেন।
আটককৃত রোহিঙ্গারা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈদগাঁওতে অবৈধভাবে বসবাসসহ ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। অভিযান পরিচালনাকালে রোহিঙ্গাদের ঋণ প্রদানের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহেছান মুরাদ এনজিও সংস্থা এসডিআই কর্মী জাহেদুল ইসলামকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন প্রিন্স জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি সতর্কবানী উচ্চারণ করে বলেন, যেসকল স্থানীয় লোকজন রোহিঙ্গাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পূর্ণবাসনে সহযোগিতা করবে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেবে। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের অর্থায়নের অভিযোগে এনজিও সংস্থা ব্যুরো বাংলাদেশ এবং এসডিআইয়ের সকল কার্যক্রম প্রশাসন ঈদগাঁওতে বন্ধ করে দিয়েছে। অভিযানত্তোর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও জানান, কোন ইউনিয়নে যাতে কোন রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রশ্রয় না পেতে পারে সেজন্য সদরের সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী ওই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত রাখারও দাবী জানান তারা। এদিকে অভিযানের সংবাদ দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অনেক রোহিঙ্গা গোপনে সটকে পড়ে। এখনও বৃহত্তর ঈদগাঁও’র অনেক এলাকায় বিশেষ করে পাহাড়ী জনপদগুলোতে অনেক রোহিঙ্গা বসতি স্থাপন করেছে যাদের মধ্যে অনেক আবার ইউনিয়ন পরিষদ সমুহের একশ্রেণির অসাধু জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে বলে প্রচার আছে।