ডেস্ক নিউজ : মিস ইসরায়েল ও মিস ইরাক একই সঙ্গে সেলফি তোলার পর এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। এব জবাবে মিস ইরাক অর্থাৎ সারা ইদান ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, মিস ইসরায়েলের সঙ্গে ছবি তুলে তিনি শান্তির বার্তা দিতে চেয়েছেন এবং এর মানে এটা না যে, তিনি ইসরায়েলি সরকারকে সমর্থন করছেন। এবং তিনি তার সেলফিটি ডিলিট বা বিনষ্ট করবেন না। মিস ইসরায়েল আদার গ্যানডেলসম্যানের সঙ্গে সেলফি তোলার পর প্যালেস্টাইনের প্রশ্নে ইসরায়েলের ভূমিকার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারা ইদানের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
এধরনের সমালোচনা তুঙ্গে ওঠে ইরাকেও। সমালোচনার জবাবে ইনস্ট্রাগ্রামে এক পোস্টে সারা ইদান বলছেন, এ ছবি শুধু মাত্র শান্তির পক্ষে আশা ও দুটি দেশের শুভেচ্ছার প্রতীক। বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার সময় আমি আদার গ্যানডেলসম্যানের সঙ্গে ছবিটি তুলি এবং তার মানে এই নয় যে প্যালেস্টাইন প্রশ্নে ইসরায়েলের নীতিকে আমি সমর্থন করি। তারপরও কেউ যদি মনে করে আমাদের এ ছবি প্যালেস্টাইনের পক্ষে ক্ষতিকর তাহলে তার জন্যে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আদার আমাকে তার সঙ্গে ছবি তোলার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলে সে আশা করছে মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে শান্তি বজায় থাকবে এবং কোনো পক্ষই তাদের সন্তানদের সেনাবাহিনীতে পাঠাবে না। কিন্তু ছবি তোলার পর আমি ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েছি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সারাকে অভিশাপ দিয়ে প্যালেস্টাইনিদের জন্যে এ ছবি মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করেন। একজন সারাকে লক্ষ্য করে তার মন্তব্যে বলেন, তুমি তাদের অপমান করেছো যারা ইসরায়েলীদের গুলিতে শহীদ হয়েছে।
একটি বিভক্ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে সহনশীলতার প্রতীক বলে এ ছবিবে অনেকে মনে করছেন। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং এ দেশ দুটি একে অপরকে শত্রু বিবেচনা করে। তবে মিস ইসরায়েল তাদের এ ছবিটি পোস্ট করে মন্তব্য করেন, দেখুন, ইনি হচ্ছে মিস ইরাক এবং সে বিস্ময়কর! আসুন বিশ্বে শান্তি আনতে চর্চা করি। অন্যদিকে সারা তাদের ছবি সম্পর্কে লেখেন, মিস ইরাক ও মিস ইসরায়েলের পক্ষ থেকে শান্তি ও ভালবাসা।
এর আগে ২০১৫ সালে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় লেবাননের সুন্দরী শ্যালি গ্রেইগের সঙ্গে তখনকার মিস ইসরায়েল বারবার ছবি তুলতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ এনেছিলেন। লেবাননের আইনে ইসরায়েলিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা অবৈধ। শ্যালি এও অভিযোগ করেন যে তিনি যখন মিস স্লোভেনিয়া ও মিস জাপানের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন, সেখানে হঠাৎ মিস ইসরায়েল একেবারে লাফ দিয়ে এসে (তার ভাষায়) ছবি তোলে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা পোস্ট করে। টাইমস অব ইসরায়েল
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।