বিদেশ ডেস্ক:
দুইদিনের মধ্যে লেবাননে ফিরবেন দেশটির পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার ১০ দিন পর দেশে ফিরছেন তিনি। গত ৪ নভেম্বর সৌদি সফরে গিয়ে হঠাৎ করেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাদ হারিরি।
তার এই পদত্যাগে ইরান ও হিজবুল্লাহ নড়েচড়ে বসে। পদত্যাগের কারণ হিসেবে ইরান-সমর্থিত দল হিজবুল্লাহকেই দায়ী করেন তিনি। তারাই লেবাননের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন। হারিরি বলেছিলেন, খুন হওয়ার ভয়ে তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
তবে বিশ্লেষকদের দাবি, সৌদি আরবের চাপেই পদত্যাগ করেছেন তাদের মিত্র হারিরি। হিজবুল্লাহর মুখোমুখি হতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে ‘সরিয়ে দিয়েছে’ সৌদি কর্তৃপক্ষ।
২ নভেম্বর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন অভিযানের নামে ১১জন প্রিন্সসহ প্রায় ২০০ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময়ই পদত্যাগের ঘোষণা দেন হারিরি। একদিকে অভ্যন্তরীণ কর্তৃত্বকে নিরঙ্কুশ করতে দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান, অন্যদিকে আঞ্চলিক আধিপত্য জোরদারে লেবানন ও ইয়েমেনকে ইরানবিরোধী ছায়াযুদ্ধের নাট্যমঞ্চ বানায় সৌদি আরব।
লেবাননে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হিজবুল্লাহ অনেকদিন ধরেই হারিরির প্রতিপক্ষ। রাজনৈতিকভাবে তাকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় পদত্যাগ করেন হারিরি। অভিযোগ উঠে সৌদি আরবে আটক রয়েছেন তিনি।
লেবানেনের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বলেছেন, হারিরি দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র দেওয়া না পর্যন্ত তিনি তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হারিরি এমনটা করলেও তাকেই আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে চাইবে পার্লামেন্ট সদস্যরা। ফলে আবারও আলোচনায় বসবে জাতীয় ঐক্যের সরকার।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।