ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জায়েজ হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি আব্দুল আজিজ আল শায়েখ। তাছাড়া আল-আকসা প্রান্তরে ইসরায়েলীদের হত্যা করা কিংবা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা শরয়ীভাবে বৈধ হবে না বলে জানান সৌদির এ গ্রান্ড মুফতি। এ বিবৃতির পরেই অভিনন্দন জানিয়েছে ইসরায়েল। খবর খালিজ অনলাইন, ইয়েনি সাফাক, আল-জাজিরা
এ নিয়ে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা হয়েছে। ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন এক্টিভিটিসরা।
স্থানীয় একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সৌদি মুফতি বলেন, ইহুদিরা আকসা মসজিদ নিয়ন্ত্রণ করছে, এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এজন্য নিজেকে ধ্বংসের পথে নিজেকে ফেলে দেয়ার বিধান অনুসারে ইহুদিদেরকে হত্যা করা অথবা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা জায়েজ হবে না।
তিনি আরো বলেন, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, তারা ফিলিস্তিনিদের জন্য বিপদ ও অনিষ্ট। সারা বিশ্বে বিশেষ করে আরব বিশ্বে এবং মুসলিম বিশ্বে আকসা এবং গাজাকে সাহায্যের জন্য যে বিক্ষোভ করছে তা নিছক হৈহুল্লোড়, এতে কোনো কল্যাণ নেই।
তিনি আরো বলেন, লেবাননের ইসলামী আন্দোলনকে (সম্ভবত হিযবুল্লাহকে ইঙ্গিত ) দমনের জন্য ইসরায়েলী সেনাবাহিনীর সাহায্য গ্রহণ করা বৈধ হবে। যেহেতু বিশেষ প্রয়োজনে মুশরিকদের সাহায্য গ্রহণ করা যায়।
এ নীতির ভিত্তিতেই সৌদি আরব ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করছে।
এই বিবৃতির পরই বসে নেই ইসরায়েল। ইসরায়েলী যোগাযোগমন্ত্রী সৌদি গ্রান্ড মুফতির এ উক্তির প্রেক্ষিতে তার প্রশংসা বার্তা পাঠিয়েছেন টুইটারে। টুইট বার্তায় বলেন, আমরা আবদুল আজিজ আল শেখকে অভিনন্দন জানাই। তিনি সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি এবং সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। তিনি যে ফতোয়া দিয়েছেন, ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং হত্যা নিষিদ্ধ এজন্য তাকে অভিনন্দন।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে আমরা গ্রান্ড মুফতিকে ইসরাইল ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাকে আমাদের দেশে সর্বোচ্চ সম্মানিত করা হবে।
সূত্র : খালিজ অনলাইন, ইয়েনি সাফাক, আল-জাজিরা
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।