হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ
যাত্রীবাহী বাস চালককে মারধর করার প্রতিবাদে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় ১ ঘন্টা ব্যাপী যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ ঘটনায় বাস চালক এবং একজন যাত্রী আহত হয়েছেন। ১৪ নভেম্বর বিকালে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা হলেন বাস চালক কক্সবাজারের মোঃ ফারুক (৩৯) এবং যাত্রী টেকনাফ পৌর এলাকার বাসিন্দা নুরুল আলম (৪০)।
জানা যায়, ১৪ নভেম্বর বিকালে কক্সবাজার থেকে টেকনাফে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী বাস কক্সবাজার জ-১১-০২১৭। পাশাপাশি সিটে বসছিলেন টেকনাফ পৌর এলাকার বাসিন্দা নুরুল আলম (৪০) এবং তাঁর স্ত্রী দিলদার বেগম (৩৩)।
বাসের যাত্রী দিলদার বেগম জানান, গাড়িটি উখিয়ার কোটবাজার আসলে গাড়িতে উঠেন হোয়াইক্যং মাঝরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাফর সওদাগরের পুত্র আবদুল গফুর। এসময় নুরুল আলম সিট থেকে উঠে গাড়িতে অপর এক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলছিলেন। দিলদার বেগমের পাশে সিট খালি দেখে পাশে বসার চেষ্টা করেন। এনিয়ে তর্কাতর্কির শুরু হয়। একটু পরে স্বামী ফিরে এসে স্ত্রীর পাশে বসতে চাইলে আবদুল গফুর তাঁদের পরিচয় চ্যালেঞ্জ করে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাঁদের বিতর্কে বাধা দিতে গিয়ে চালক-হেলপারও জড়িয়ে পড়েন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাসটি হোয়াইক্যং মাঝরপাড়া আবদুল গফুরের বাড়ির সামনে পৌছলে গাড়ি থামিয়ে বাস চালক কক্সবাজারের মোঃ ফারুক (৩৯) এবং যাত্রী টেকনাফ পৌর এলাকার বাসিন্দা নুরুল আলম (৪০) কে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়।
এঘটনার প্রতিবাদে চালক হোয়াইক্যং স্টেশনের উত্তর মাথায় প্রধান সড়কের উপর গাড়ি বন্দ করে দেন। এতে উভয় দিকে শত শত বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে নিকটস্থ হোয়াইক্যং পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। আহত দু’জনকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক ও জরুরী চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, উক্ত আবদুল গফুর হ্নীলা মাইন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের শিক্ষক বলে জানা গেছে।