সিবিএন ডেস্ক:
জাতিগত নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা ৬ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৭ জন বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদফতর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
সমাজসেবা অধিদফতর মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ৭টি কেন্দ্রে মোট ১৫ হাজার ৭৩৯ জনের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হয়েছে। এরমধ্যে নারী-পুরুষ মিলিয়ে কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ২ হাজার ৯৮৫ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ২ হাজার ৬৩৯ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৯৩৮ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ২ হাজার ১০৩ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ২ হাজার ৩৭১ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ২ হাজার ৯২৯ জন, শামলাপুর ক্যাম্পে এক হাজার ৭৭৪ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
জাতিগত নিপীড়নে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের কয়েক লাখ রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছেন। সম্প্রতি মিয়ানমারের সীমান্তে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। তখন থেকে রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ আগস্টের পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ২৯ হাজার জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।