ইমাম খাইর, সিবিএন:
রামুতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় আহত মহিউদ্দিন মাহিও (২০) অবশেষে মারা গেছে।
রবিবার বেলা দুইটার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী।
মহিউদ্দিন মাহি সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ফাঁসিয়াখালীর পূর্ব ইছাখালী এলাকার মোঃ সিরাজ মিয়ার ছেলে এবং ইদগাহ ফরিদ আহমদ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ২য় বর্ষের ছাত্র।
রবিবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় মহিউদ্দিন মাহি আহত হয়।
একই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও কলেজ গেইট এলাকার শব্বির আহমদের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২০) ও ঈদগাঁও জালাবাদ পালাকাটার হাসান প্রকাশ আবিদ (২২)। নিহত তিনজনই মোটর সাইকেল আরোহী ছিলেন। শফিকুল ইসলাম ইদগাহ ফরিদ আহমদ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ২য় বর্ষের ছাত্র। হাসান কম্পিউটারের দোকানদার।
ঘাতক বাসের চালক হেলপার পালিয়ে গেছে। পুলিশ গাড়ীটি জব্ধ করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুচ্ছগ্রামের সামনে মহাসড়কে ঈদগাঁওমুখি যাত্রীবাহী সী-লাইন বাস (কক্সবাজার-ছ ১১-০১২০) এবং কক্সবাজারমুখি মোটর সাাইকেল (কক্সবাজার-ল ১১-১৯৫০) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই জনের মৃত্যু হয়। অপরজন গুরুতর আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় মহিউদ্দিনকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রামুর তুলাবাগান হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোজাহিদুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারমুখী মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় ঈদগাঁওমুখী সী-লাইন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস। এ সময় মোটর সাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন মোটরসাইকেলে থাকা দুই জন। পরে হাসপাতালে মারা যায় আরো একজন।