বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ আ ফ ম মাহবুবুল হক আর নেই। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কানাডার অটোয়ার সিভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
আ ফ ম মাহবুবুল হকের অকাল মৃত্যুতে বাসদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
বাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, কমরেড আ ফ ম মাহবুবুল হক ছিলেন শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্টার স্বপ্নদ্রষ্টা। বিপ্লবী রাজনীতিতে তার আপোষহীন লড়াই এ দেশের বামপন্থী নেতাদের অনাদিকাল পথ দেখাবে। সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অজন্ম সেনানি এই বীর যোদ্ধার মৃত্যুতে দেশের বাম আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কানাডার অটোয়ার সিভিক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা আ ফ ম মাহবুবুল হক ১৯৬২ সালে স্কুল জীবনে শরীফ কমিশনের প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষানীতি বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন ও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। তিনি ১৯৬৭-৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ সূর্যসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৮-৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, ১৯৬৯-৭০ সালে কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বি এল এফ’র অন্যতম প্রশিক্ষক ও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৭৩-৭৮ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৮-৮০ সালে জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ১৯৮০ সালের শেষের দিকে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন।
১৯৮৩ সালে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নিযুক্ত হন। আপোষহীন এই নেতা ১৯৬৮ সালে প্রথম কারাবরণ করেন। ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত পুনরায় রাজবন্দি হিসেবে কারাগারে কাটান। ১৯৮৬ সালে আবার কারাবরণ করেন। ১৯৯৫ সালে ঋণখেলাপি কালো টাকার মালিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।