কক্সবাজার রিপোর্ট :
কক্সবাজারের কলাতলী মোড়স্থ সরকারি ভাবে বাতিল কৃত প্লটে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ না করতে প্রশাসনের নিষেধের একদিন পরেই আবারো সেই জমিতে কাজ শুরু করেছে প্রভাবশালীরা। পরে আজ আবারো সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নোমান হোসেন তাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে এর পরে কাজ করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান সদর ইউএনও। এদিকে প্রশাসনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কোন আইন কানুন কে তোয়াক্কা না করে বাতিল কৃত প্লটে সরকারি দলের নাম ব্যবহারকারী কিছু চিহ্নিত ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় কাজ চালিয়ে যাওয়া চেষ্টা চালাচ্ছে দখলকারীরা।
জানা গেছে কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড়স্থ প্রশাসনের বাতিলকৃত প্লট নং-৩০ এ আবু ইউচুপ মোঃ আবুদল্লাহ কিছু স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত করে সেই সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। এতে ৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসনের আরডিসি এএম জহিরুল হায়াত ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল আহাম্মদের নেতৃত্বে সেই বিতর্কিত জমি কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তার একদিন পরেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্থানীয় সরকারি দলের কিছু ব্যক্তির ছত্রছায়ায় সেই ৩০ নাম্বার প্লটে কাজ শুরু করে প্রভাবশালীরা। তবে শেষ রক্ষা হয় নি। আজ দুপুর ১ টার দিকে সদর তহসিলদারকে সাথে নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নোমান হোসেন নিজে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় সদর ইউএনও বলেন পরবর্তিতে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কাজ করার চেস্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে শুনা যাচ্ছে প্লটের আবেদনকারী ঢাকার শীর্ষ বিএনপি নেতা আবু ইউছুপ মোঃ আবুদল্লাহ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের হাত করে প্রশাসনের নির্দেশ না মেনে আবারো কাজ করার চেষ্টা করছে। প্রয়োজনে প্রশাসনের বাধা কে প্রতিহত করার ও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এ সময় বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ি বলেন যদি বাতিলকৃত একটি প্লটে কাজ শুরু করলে তাহলে বাকি প্লট গুলোও রাখা যাবে না। কিছুদিন আগে আরো একটি প্লটে কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। যদি এই প্লটে কাজ চলে তাহলে সব প্লটেই কাজ শুরু হবে। সে জন্য প্রশাসনকে শক্তহাতে প্রভাবশালীদের প্রতিহত করা প্রয়োজন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।