আতিকুর রহমান মানিক:
রোহিঙ্গা নারীকে নিজের মেয়ে সাজিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে আটক হয়েছে টেকনাফের এক ব্যক্তি। কথিত মেয়ে রোজিনাও তার সাথে ধৃত হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় কক্সবাজার অাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক অাবু নাঈম মাসুম এদের পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে এদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারাদন্ড প্রদান করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নোমান হোসেন।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে প্রকাশ, টেকনাফ উপজেলার বাহার ছড়া গ্রামের গ্রামের জনৈক এজাহার আলম তার মেয়ে রুজিনা আকতারের জন্ম নিবন্ধন সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ও আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে রোহিঙ্গা এক নারীকে পাসপোর্ট করতে আসে। যথারীতি আবেদন কাউন্টারে ফাইল জমা দেয়ার পর কাগজপত্র, ছবি ও আবেদনকারীর আচার আচরনে অসঙ্গতি দেখা গেলে ফাইলটি আটকে চ্যালেঞ্জ করেন সহকারী পরিচালক। তখন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে কথিত পিতা তার মেয়েকে এতদিন চট্টগ্রামে দত্তক দিয়েছিল বলে দাবী করে। পরে মেয়ে নামধারী রোজিনাকে চট্টগ্রামে কোথায় ছিল জিজ্ঞেস করলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। আরো বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করার পর মহিলাটি রোহিঙ্গা বলে প্রমাণিত হলে দুপুর দুইটায় তাদেরকে সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ দন্ডবিধি’র ১৮৬ ধারা মোতাবেক এজাহার আলমকে ২ মাসের ও রোহিঙ্গা মহিলাকে ১ মাসের কারাদন্ড দেন। সদর ইউএনও এ ব্যাপারে বলেন, পুরুষ লোকটি মহিলার বাবা সেজে পাসপোর্ট করতে সহায়তা করেছে। রোহিংগাদেরকে ভোটার সহ পাসপোর্ট করতে যারা সহায়তা করছে তাদের বিরূদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজার অাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম বলেন, জনগন-জনপ্রতিনিধি ও পুলিশসহ সবাই সচেতন হলে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট করার অপতৎপরতা বন্ধ হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।