প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর অন্ধকার থেকে বেরিয়ে দেশে আলোর পথ সূচনা হয়েছিল। সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছিল। ৭ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত মহান জাতীয় বিপ্লব ও ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সেদিন রাস্তায় সাধারণ মানুষ নেমে এসেছিল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। ভেদাভেদ ছিল না সৈনিক ও সাধারণ মানুষের মাঝে। দেশের সেই সঙ্কটময় মুহুর্তে দেশ পরিচালনার জন্য সিপাহী-জনতা খুঁজে বের করেছিলেন জিয়াউর রহমানকে। তখন তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে মাত্র সাড়ে ৩ বছরে দেশকে দিয়ে গেছেন অনেক কিছু। একটি ভঙ্গুর অর্থনীতিকে তিনি দাঁড় করিয়েছিলেন উন্নয়নের অর্থনীতিতে। আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায় বিচার, মানবিক মূল্যবোধসহ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান অনেক দূর।
সাবেক এই সাংসদ আরো বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিরপেক্ষ, সহায়ক সরকারের অধীনে যদি অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় তাহলে সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মুসলিম লীগে পরিণত হবে। তাই তারা বিএনপির জনসমর্থন টের পেয়ে নার্ভাস ফিল করছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শাহাজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রমিকদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহামদ উজ্জল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এড. মো. ইউনুস, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম শাহীন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুল কাদের লিমন, আইন কলেজ ছাত্রদল সভাপতি মিজানুল আলম, কক্সবাজার কলেজ ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সিকদার প্রমুখ। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক মোজাম্মেল হক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।