হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে রোহিঙ্গাদের জন্য রাস্তা নির্মাণ করায় ক্ষতিপুরণ দাবি করেছেন জমির মালিক সাঈদ আলম। তিনি এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশণার (ভুমি) বরাবরে জমির খতিয়ান ও ওয়ারিশ সার্টিফিকেটসহ লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কেরুনতলী গ্রামের মৃত হাজী নুর আহমদের পুত্র সাঈদ আলম জানান টেকনাফ-কক্সবাজার প্রধান সড়ক থেকে পশ্চিম দিকে চলাচলের জন্য ছোট্র আয়তনের একটি রাস্তা ছিল। এ রাস্তা দিয়ে চাকমারকুল পাহাড়ী এলাকায় যাতায়ত ছিল। রাস্তাটি সরকারী কোন রাস্তা নয়।
বর্তমানে সেখানে অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প করা হয়েছে। এতে সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, আইন শৃংখলা বাহিনীর যাতায়ত এবং ত্রাণ পরিবহণ সরবরাহ সুবিধার জন্য রাস্তাটি জমি মালিকের অনুমতি ও ক্ষতিপুরণ ছাড়াই ২০ ফুট প্রস্থ করে ব্রীক সলিন করা হচ্ছে। জমির তফশীল হচ্ছে উত্তর হ্নীলা মৌজার জেএল নং-৩, বিএস খতিয়ান নং-৭২৯, বিএস দাগ নং-৫ ও ৩ আন্দরে ৩১.৯৪ একর। আবেদনকারীর পক্ষে হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওঃ নুর আহমদ আনোয়ারী এবং স্থানীয় মেম্বার আলহাজ্ব জালাল আহমদ সুপারিশ করেছেন।
ক্রয় সুত্রে জমির মালিক সাঈদ আলম বলেন ‘আমরা গরীব অসহায় বাসিন্দা। আমরা সর্বসাধারণের সুবিধার্থে ছোট আকারের রাস্তা বিনা মুল্যে আমাদের জমি দিয়েছিলাম। কিন্ত কোন ক্ষতি পুরণ ছাড়াই আমাদের প্রায় ১ কানি জমির উপর রাস্তা নির্মাণ করায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমরা জমির ক্ষতি পুরণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি’।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।