হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
টেকনাফের সাবরাং নয়াপাড়া সীমান্ত পয়েন্ট থেকে ৯০ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা মুল্যের ৩০ হাজার ৯৫ পিস ইয়াবা বড়িসহ মিয়ানমার নাগরিক ৩ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে দমদমিয়া বিওপির বিজিবি। এসময় নৌকা ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখা এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করতঃ জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট ও মোবাইল ফোনসহ টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ এবং আটককৃত নৌকা হ্নীলা শুল্ক অফিসে জমা করা হয়েছে। ইয়াবাসহ আটক মিয়ানমার নাগরিক ইয়াবা পাচারকারীরা হলেন মিয়ানমারের মংডু খাঁরিপাড়া মৃত নজির আহমদের পুত্র মোঃ আবদুস শুকুর (২৪), মোঃ সলিম উল্লাহর পুত্র মোঃ হায়াত উল্লাহ (২০), মোঃ ছোপেলের পুত্র মোঃ আরেছ (২০)।
টেকনাফ-২ বিজিবি’র পরিচালক অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ‘২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপির হাবিলদার মোঃ আলম রাব্বীর নেতৃত্বে একটি টহল দল ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে নাফ নদীতে নিয়মিত টহলে গমন করে। টহল দল সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারেন সাবরাং ইউপিস্থ নয়াপাড়া (বকেরজোড়া) এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর টহলদল উল্লেখিত এলাকায় গমন করতঃ ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে প্যারাবনের এক পাশে ওঁৎ পেতে থাকে। পরবর্তীতে ২ নভেম্বর ভোর রাত সাড়ে ৩টায় টহল দল সীমান্তের শুন্য লাইন অতিক্রম করে একটি হস্তচালিত নৌকা বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে নাফ নদীর কিনারায় আসার জন্য অপেক্ষারত থাকে। অতঃপর নৌকাটি নাফ নদীর কিনারায় আসা মাত্রই টহল দলের কয়েকজন সদস্য নৌকাযোগে এবং কয়েকজন সদস্য নাফ নদীর কিনারায় অবস্থিত প্যারাবনের ভেতর দিয়ে গমন করতঃ মিয়ানমার হতে আগত নৌকার যাত্রীদের ঘেরাও করে। আকস্মিক বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই নৌকায় আরোহিত ৩ জন মায়ানমার নাগরিক নৌকা থেকে লাফ দিয়ে প্যারাবনের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা করলে টহলদল অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে আটককৃত ইয়াবা পাচারকারীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নৌকাটি তল্লাশী করে ৯০ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা মুল্যের ৩০ হাজার ৯৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং উল্লেখিত নৌকাসহ তিনজন মায়ানমার ইয়াবা পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখা এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করতঃ জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট ও মোবাইল ফোনসহ টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ এবং আটককৃত নৌকা হ্নীলা শুল্ক অফিসে জমা করা হয়েছে’।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।