মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :

ঈদগাঁও থেকে ফিল্মী স্টাইলে চালকসহ ছিনতাইকৃত পিকআপ চৌফলদন্ডী থেকে উদ্ধার হয়েছে। এসময় পুলিশ জনতার সহায়তায় ছিনতাইয়ে জড়িত ২ জনকে আটক করেছে। ছিনতাইকারীরা চালককে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে বেদম মারধর করে কয়েক ঘন্টা জিম্মি করে পরে ছেড়ে দেয়। ২ নভেম্বর দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, টেকনাফের হ্নীলা নয়াবাজার থেকে একটি টাটা কোম্পানীর পিকআপ (চট্টমেট্রো ন-১১-৫৫৭৫) নিয়ে চালক নুর আহমদ বৃহষ্পতিবার বিকেল আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। গাড়ীটি ঈদগাঁও পৌঁছুলে কালিরছড়া ভুতিয়ার পাড়া সড়ক থেকে আগত মোটর সাইকেল আরোহী ৩ জন একে সংকেত দিয়ে থামায়। পরে তারা গাড়ীতে অবৈধ মালামাল আছে বলে চালকের সাথে তীব্র তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে চালক দ্রুত চালিয়ে চলে যেতে চাইলে ওভারটেক করে মোটর সাইকেল আরোহীরা পিকআপটির গতিরোধ করে। জোর পূর্বক চালককে নামিয়ে তারা নিজেরা গাড়ীটি নিয়ে যায়। এসময় চালককে ঈদগাঁও জাগির পাড়াস্থ একটি বিল্ডিংয়ে নিয়ে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতন করে। ছিনতাইকৃত পিকআপটির সাথে এর মালিককেও নিয়ে যায়। মালিক মোহাম্মদ আলী হ্নীলা নয়াবাজারের সিকান্দারের পুত্র বলে জানান। এদিকে ঘটনার ঘন্টা দেড়েক পর ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ দল চৌফলদন্ডী হায়দার পাড়ায় গাড়ীটিকে ধাওয়া করে জব্দ করে। এসময় পালানোর চেষ্টাকালে ২ ছিনতাইকারীকে জনতা ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। গাড়ীটির চালক উখিয়ার পালংখালীর বাসিন্দা। সে তাকে জিম্মি করার পর তার মোবাইল ও কেড়ে নেয় বলে এ প্রতিনিধিকে জানায়। আটকরা হচ্ছে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হকের পুত্র শাহরিয়ার এবং সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বইল্যা পাড়া ও বর্তমান ঈদগাঁও বাজার এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আহমদুল হকের পুত্র আনাছুল হক। গাড়ীর মালিক মোহাম্মদ আলী জানান, তিনি ঘটনার পারিপাশির্^কতা কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি। চালক নূর আহমদ জানান, তাকে ৬/৭ জন বেঁধে অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ পরিদর্শক মো. খায়রুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে তিনি এবং ২য় কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ সরকারসহ ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে চৌফলদন্ডী থেকে ছিনতাইকারীসহ পিকআপটি উদ্ধার করেন। তবে এ ঘটনায় রাতে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পুলিশ বা ভূক্তভোগীদের পক্ষে কেউ মামলা করেননি। প্রভাবশালী মহল আটকদের ছাড়িয়ে নিতে পুলিশ ক্যাম্পে তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। আটকরা জানায়, তারা ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তবে কক্সবাজারের সাগর নামের এক ব্যক্তি এ ঘটনার মূল হোতা বলে উল্লেখ করে তারা।