এম.ইব্রাহিম খলিল মামুন:
নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলায় বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানের শুরুতে গত দু’দিনে ১৬’শ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। একই সাথে পলিথিন মজুদ, আমদানী, বিক্রয়, বিতরণ ও প্রদর্শন করার অভিযোগে দুই ব্যবসায়িকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও একই অভিযোগে মামলা করা হয়েছে দু’টি।
পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, সারা দেশের মতো কক্সবাজারেও সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পরিবেশ অধিদপ্তর। তারই ধারাবাহিকতায় ৩১ অক্টোবর শহরের বড় বাজার এলাকায় পৌর সুপার মার্কেটের হাবিুল্লাহ নামক ব্যক্তির গোডউন থেকে ২০৫কেজি পলিথিন, মগপাড়া গলির ঈসমাইল হাজীর গোডাউন থেকে ৪০০কেজি এবং ইশাত পারফিউমাল নামক দোকান থেকে ৫২০কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়। এসময় হাবিুল্লাকে ৩০ হাজার টাকা ও ইশাত পারফিউমাল এর মালিক সিরাজ উদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ঈসমাইল হাজীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়। অভিযানের নেতৃত্বদেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব ও পরিদর্শক মুমিনুল ইসলাম। এর আগে উখিয়ার মরিচ্যা বাজার ও ফলিয়াপাড়ায় আব্দুর রহিম ও সুরত আলীর গোডাউন ও বাড়ী থেকে ৪২৫ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। এ অভিডানের নেতৃত্বদেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব। উপস্থিত ছিলেন পরিদর্শক মুমিনুল ইসলাম। এ অভিযানে উখিয়া থানায় পৃথক দু’টি মামলা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এর ৬(ক)ধারা অনুযায়ী পলিথিন মজুদ, আমদানী, বিক্রয়, বিতরণ ও প্রদর্শন করা সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ। তাই নিষিদ্ধ এ পলিথিনের বিরুদ্ধে সারা দেশে পরিবেশ অধিদপ্তর বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারেও এ অভিযান শুরু হয়েছে এবং বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।