প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের দুই-দুইবার নির্বাচিত সাবেক এমপি আলহাজ্ব আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদ বলেন, বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচীতে জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে চরমভাবে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন করছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এখন কোন পর্যায়ে চলে গেছে তা সাধারণ জনগণ জানে। সাহস থাকলে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একবার নির্বাচন দিয়ে তারা প্রমাণ করুক তাদের জনপ্রিয়তা এখন কোথায়? মহেশখালী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে গতকাল বিকেলে মহেশকালী প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কাদের বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল হক রানা বলেন, মহেশখালীতে বিএনপির সব রকম রাজনৈতিক কার্যকলাপে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে নির্লজ্জভাবে হস্তক্ষেপ ও বাধা প্রদান করে চলেছে। দেশের সর্ববৃহৎ নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক ও শান্তিপ্রিয় দলের নিয়মিত রুটিন ওয়ার্কে ক্রমাগত বাধার সৃষ্টি করে সরকারি দল চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী মানসিকতার বহিপ্রকাশ ঘটিয়েছে। যা জনগণকে হতাশ ও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। বিএনপির সাংগঠনিক স্তম্ভ মহেশখালী-কুতুবদিয়ার মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা ও সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন বাকশালী চক্র বারবার রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচীতে তারা তাদের পোষ্য পুলিশ দিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড ভ-ুল করেছে বারবার। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত ২৭ আগস্ট বড় মহেশখালীতে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন উপলক্ষ্যে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ সভায় আকস্মিক পুলিশ হামলা চালায়। এ সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে জনগণের প্রিয় নেতা আলমগীর ফরিদ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর এ ধরণের অন্যায় আচরণের দৃঢ়কন্ঠে প্রতিবাদ জানান। গত ৫ সেপ্টেম্বর বড় মহেশখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলেও পুলিশ অহেতুক ছড়াও হয়ে নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং সম্মেলন ভ-ুল করে দেয়। গত ৯ অক্টোবর মাতারবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্মেলন আয়োজনের জন্যে প্রশাসনের অনুমতি চাইতে গেলেও চরম নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়। ইউএনও-ওসি হয়ে ডিসি-এসপি পর্যন্ত গড়ায় এ অনুমতির আবেদন। শেষ পর্যন্ত অনুমতি দিলেও সম্মেলনের আগের দিন মাতারবাড়ি বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা ছৈদর, যুগ্ম-আহ্বায়ক মিছবাহ উদ্দিন সিকদার মজিদী, যুবদল সভাপতি নুরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক আনচারুল করিম, ছাত্রদল যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল আলম শাওন, ছাত্রদল নেতা তায়েব ইলাহীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ধরে নিয়ে মাতারবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে দুই দিন ধরে আটকে রাখে। পুলিশের দাবী ছিল, মহেশখালীর মাতাবাড়ির সম্মেলনে আলমগীর ফরিদ কোনমতেই আসতে পারবে না। এতে প্রমাণ হয় যে, আলমগীর ফরিদ একজন জনপ্রিয় নেতা। আলমগীর ফরিদকে নিয়েই আওয়ামী সরকারের যতসব ভয়। গত ১৭ অক্টোবর কুতুবজুম বটতলীতে যুবদলের ওয়ার্ড সম্মেলনে সে আগের মতোই পুলিশ আবারও নগ্ন হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ সম্মেলন উপলক্ষ্যে ব্যবহারযোগ্য মাইক ও সরঞ্জামাদি ভাংচুর করে, মাইকের চালককে মারধর করে এবং নেতাকর্মীদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। সর্বশেষ গত ২৪ অক্টোবর মহেশখালী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্য যুবদলের সম্মেলনে পুলিশ উপস্থিত হয়ে আবারও ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালায়। অথচ এ সম্মেলনে কোন ধরণের স্টেজ বা মাইক ব্যবহার করা হয়নি। তারপরও পুলিশ এ সম্মেলনে বাধা প্রদান করে। এড. রানা আরও বলেন, আলমগীর ফরিদের জনপ্রিয়তা ও বিএনপির দূর্গ নামে খ্যাত মহেশখালী বিএনপির যে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে পুলিশ দিয়ে বাধা প্রদান করছে আওয়ামী বিকাশ সরকার। তারা যতই বাধা প্রদান করুক না কেন বিএনপির চলমান অগ্রযাত্রা বন্ধ করা যাবে না। আলমগীর ফরিদের জনপ্রিয়তা এবং তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড দমিয়ে রাখা যাবে না। যত বাধাই আসুক না কেন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ও আলমগীর ফরিদের নেতৃত্বে যে কোন কর্মসূচী চালিয়ে যাবে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশের বাধা ও হামলায় বরং আলমগীর ফরিদের জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়ছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার শুধু বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচীতে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত নয়। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার এখন পুলিশ লীগে পরিণত হয়েছে। গত বিএনপি সরকারের আমলে এবং আলমগীর ফরিদ এমপি থাকাকালীন সমেয় মহেশখালীতে যা উন্নয়ন হয়েছে তার সিকিভাগও উন্নয়ন করতে পারেনি বর্তমান সরকার। এ সরকারের নেতাকর্মীরা টেন্ডারবাজির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত। এখন সর্বত্র দলীয়করণ ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না। আলমগীর ফরিদের নেতৃত্বে বিএনপির আগামী যে কোন কর্মসূচীতে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার নেতাকর্মীরা বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- মহেশখালী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন রতন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ছোট মহেশখালীর সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম কমিশনার, শ্রমিক নেতা হাবিব উল্লাহ হাবিব, বড় মহেশখালী বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল আলম, বড় মহেশখালী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম মেম্বার, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনচার উল্লাহ বিএ, শাপলাপুর বিএনপির সভাপতি গোলাম কাদের মেম্বার, শাপলাপুর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহমদ, হোয়ানক ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রমিজ আলম, বড় মহেশখালী যুবদল আহ্বায়ক এম. মোখতার আহমদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কাশেম, হোয়ানক যুবদল সভাপতি আব্দুল মতিন, উপজেলা কৃষকদল আহ্বায়ক ইমতিয়াজ হাসান, কুতুবজুম যুবদল আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম মাসুদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক সরওয়ার কামাল, ছোট মহেশখালী যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক একরামুল হক, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আসাদ উল্লাহ হেলালী, উপজেলা ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান ডালিম, তারেক রহমান জুয়েল, বড় মহেশখালী ছাত্রদল সভাপতি সরফরাজ হায়দার দুর্জয়, সিনিয়র সভাপতি নুরুল আবছার, কুতুবজুম ছাত্রদলের সদস্য সচিব মুহাম্মদ সেলিমসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের প্রতিটি ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদ এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন এড. রানা