নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার দিলদার আহমদ দিলু ও তার এক মাত্র মেয়ে রেনু’র বেদরক মারধরে রেহেনা আক্তার (১৭) নামের গৃহপরিচালিকার মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত রেহেনার মামা মোহাম্মদ আলম জানান, দিলু মেম্বারের নির্মম নির্যাতনে আমার ভাগনির মৃত্যু হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনি আমার ভাগনির উপর চলতো পাশবিক নির্যাতন। যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে দিলু মেম্বারের পরিবার। আগের মতো মঙ্গলবারও নির্মম নির্যাতন শুরু করে তারা। এক পর্যায়ে আমার ভাগনি মাটিতে পড়ে গেলে মরে গেছে মনে করে তারা বিষ কিনে এনে আমার ভাগনির মুখে ঢেলে দিয়ে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে তাদের কক্সবাজার প্রেরণ করা হয়। সেখানেই আমার ভাগনি মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি রেহেনার পরিবারকে না জানিয়ে শেষ করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ করে নিহত রেহেনার মা‘ জৈনব বিবি বলেন, আমার মেয়ে কিভাবে মারা গেছে আমাকে জানানো হয়নি। আমাদের না জানিয়ে তার পাগল বাবা নিয়ে গোপনে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে টেকনাফ থানায় অভিযোগ দায়ের চেষ্টা করছি।
এদিকে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি মেম্বার দিলদার আহমদ দিলু বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, মেয়েটি বিষ খেয়ে মারা গেছে। আমরা কেন তাকে মারধর করতে যাবো।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিষ খেয়ে মারা গেছে এমন তথ্য লিপিবদ্ধ করার সময় পুলিশ মামলা হিসেবে সীল করার কথা থাকলেও কোন ধরণের সীল দেয়া হয়নি। সবার চোখে আড়াল করতে ময়না তদন্ত না করেই নিহত রেহেনার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর এসব কাজ করেছে সাবেক ইউপি মেম্বার ও তার অনুসারীরা।