নুসরাত পাইরিন,কক্সবাজার:

রোহিঙ্গাদের বিশাল ভার বহন করে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার নানামাত্রিক ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে স্থানীয়দেরও সহায়তার আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে অতি দরিদ্র.অস্বচ্ছল মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা শিবিরের আশেপাশে রাস্তাঘাট,স্কুল-মাদ্রাসা- অবকাঠামো তৈরিতে এই খরচ করা হবে।  আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি সৈকত বিশ্বাস এসব কথা জানিয়েছেন।সৈকত বিশ্বাস বলেন,রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো হচ্ছে।আন্তর্জাতিক সংস্থা,স্থানীয় এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন সবাই মিলে একটি পরিকল্পনার অংশ হয়েছে। আপাতত আগামী ছয় মাসের জন্য পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে।যাতে শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে তা নয় । কিছু দিন আগের হিসাব অনুযায়ী নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ৯ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তার সঙ্গে স্থানীয় ৩ লাখ মানুষকে এ পরিকল্পনার আওতায় নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখানে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে ত্রাণ কার্যক্রমের আওতায় সহযোগিতা দেওয়া হবে। তিনি জানান,এতো বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা আসায় বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বেকারত্ব বেড়েছে। খেটে খাওয়া মানুষ তার নিজস্ব কাজের অভাবে দিন দিন অর্থ সংকটে পড়ছেন। তাদের বাছাই করে সহায়তা করা হবে বলে আপাতত সিদ্ধান্ত আছে।