ইমরান হোসাইন, পেকুয়া :

পেকুয়ায় এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কে নিত্য যানজটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এ সড়কে চলাচলকারীরা। যানজটের কারণে এ সড়কের অর্ধ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে ৩০মিনিটেরও বেশি সময় লাগছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

টইটং বাজারের উত্তর পাশে অঘোষিত টার্মিনাল হিসাবে ব্যবহার করে যাত্রী ওঠা-নামা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। এটি এই সড়কে যানজট ও জনদুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে তুলেছে। পেকুয়া ও টইটংয়ের সচেতন মানুষ এসব গাড়ীর অবস্থান সরিয়ে নিতে দীর্ঘদিন যাবত দাবি জানিয়ে আসলেও প্রশাসনের কোন সাড়া মিলছে না।

টইটং বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়ক চালু হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ সুবিধা বাড়ায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ওপর এ সড়কে চট্টগ্রামগামী কোচ সার্ভিসের অবৈধ বাসস্ট্যান্ড থাকায় যানজটও বেড়ে গেছে। অবৈধ বাসস্ট্যান্ডটি সরানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনককে একাধিকবার বলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান তারা।

মঙ্গলবার (২৪অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, টইটং বাজারের উত্তর পাশে সেতুর উপরে এবং তার দুই পাশের জড়ো হয়ে আছে সিএনজি অটোরিকশা। তার পাশেই আছে বাস কাউন্টার। কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার দুটি বাস। আর তাতে সংর্কীণ হয়ে পড়েছে এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়ক। এছাড়াও কাউন্টারের সামনে থেকে সীমান্ত ব্রীজ পর্যন্ত মূল সড়কের উপর রাখা হয়েছে শতাধিক বাস। ফলে একটি লেনে চলতে গিয়ে যানবাহনের জটলা লেগে যাচ্ছে। কখনো তা রূপ নিচ্ছে যানজটে।

সড়কের ওপর গাড়ি থামিয়ে যাত্রী নামানো-ওঠানো, খালি বাস পার্কিং করে রাখা, সড়কের ওপর গাড়ি থামিয়ে মালামাল তোলা ও নামানো যেন এখানকার প্রতিদিনের চিত্র। ফলে প্রায় সারাদিনই এ সড়কে লেগেই থাকছে যানজট। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, পথচারী ও গাড়ীর যাত্রীরা।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয়রা বলেন, পরিবহন মালিকদের ক্ষমতার প্রভাবে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। কাউন্টারের সামনে দীর্ঘক্ষণ বাস দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রী তোলা হয়। এসব কাউন্টারের জন্য কোনো অনুমোদন না থাকেলেও তা বন্ধে উদ্যোগী নয় স্থানীয় প্রশাসন।

এব্যাপারে বাঁশখালী-চট্টগ্রাম বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. শাহজাহান বলেন, আমাদের গাড়িগুলো রাখতে গিয়ে জনসাধারণের সমস্যার বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোছর হয়েছে। গাড়িগুলো সরাতে লাইনম্যানকে আমি এখনি বলে দিচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, পেকুয়া সদরে কাউন্টার স্থাপনের মাধ্যমে আমরা বাস ডিপো স্থানান্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। যা খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন হয়ে যাবে বলে আশাকরছি। তখন আর এসব সমস্যা থাকবেনা।

টইটং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বাসগুলো তারা মূল সড়কের উপর রাখছে। এতে জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই বাসগুলো নিদিষ্ট স্থানে রাখতে সংশ্লিষ্ঠদের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

সড়কে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড প্রসঙ্গে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, সড়কের উপর বাসস্ট্যান্ডের ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে এ ধরণের বাসস্ট্যান্ড করা অবৈধ।