হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
১০০ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধমুর্তি সংবলিত-কক্সবাজারের রামুর বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনাকেন্দ্রে গতকাল মঙ্গলবার ১৫তম কঠিন চিবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী পুণ্যার্থীরা ২৪ ঘন্টায় তুলা থেকে সুতা কেটে রং দিয়ে, চীবর (ভিক্ষুদের পরণের কাপড়) বুনে ও সেলায় করে ভিক্ষুদের দান করেছেন।
উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি ভাবনাকেন্দ্র প্রাঙ্গনে বিকেলে কঠিন চিবর দানোৎসবে ভিক্ষুসংঘের শতাধিক ভিক্ষুর উপস্থিতিতে চীবর দান করা হয়।
এর আগে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন রঙিন কাগজ, বাস-বেত ও হরেক রকম ফুলে কল্পতরু সজ্জিত করে, মাথায় চীবর (টাকা) নিয়ে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে কির্তন গেয়ে বুদ্ধমুর্তি প্রদক্ষিণ করেন।
ধর্মীয় দেশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একুশে পদক প্রাপ্ত, উপসংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের। ধর্মীয় দেশনা দেন- বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক করুণাশ্রী মহাথের, উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বিহার অধ্যক্ষ সারমিত্র মহাথের, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু প্রমূখ। মঙ্গল চারণা করেন বৌধি প্রিয় ভিক্ষু।
এসময় রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান আলি, থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, ভাবনাকেন্দ্র পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক সিপন বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
সিপন বড়ুয়া বলেন, এ দান উৎসবে কক্সবাজার শহর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাসহ দেশের নানা প্রান্তের অন্তত ২০ হাজার পুন্যার্থী অংশ নেন। সন্ধ্যায় বিশ্ব শান্তি কামনায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।