সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি থেকে তিনজন পদত্যাগ করেছেন।
তারা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: সিরাজুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: মোসলেম উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো: এরশাদুল হক।
গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। আমাদের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা সাবেক সাংসদ বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক জননেতা লুৎফুর রহমান কাজল ভাইয়ের নেতৃত্বে সরকার বিরোধী অতীতে সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম এবং বর্তমানেও আছি। আমরা সাংগঠনিক ভাবে বিভিন্ন পদে পদায়ন আছি। কিন্তু আমরা ২৩ অক্টোবর দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানতে পারিলাম, পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট রাজারকুল ইউনিয়ন যুবদল কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত কমিটিতে দানু মিয়া সভাপতি, মো: সিরাজুল হক সিনিয়র সহ-সভাপতি, মো: জাহেদুল হক সাধারণ সম্পাদক, মো: মোসলেম উদ্দিন যুগ্ম-সম্পাদক এবং মো: এরশাদুল হককে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয়- উক্ত ইউনিয়ন যুবদল কমিটি গঠন সম্পর্কে আমরা কোন অবগত নয়। কমিটিতে যাকে সভাপতি করা হয়েছে তিনি বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক। যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তিনি কোন সময় যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। বরং স্থানীয় ইউপি নির্বাচনের সময় নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট করেছেন।
রামু উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক স্থানীয় বিএনপি নেতা ফয়েজ উদ্দিন রাশেদের ইন্দনে তড়িগড়ি করে বর্তমান আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়কসহ আমাদের কারো মতামত না নিয়ে পূর্বে আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত না করে উক্ত পকেট কমিটি করা হয়েছে।
যেহেতু আমরা উক্ত কমিটি গঠন সর্ম্পকে অবগত নই এবং উক্ত কমিটি একটি মনগড়া কমিটি হওয়ায় আমরা নিম্বস্বাক্ষরকারীগণ স্বেচ্ছায় উক্ত ইউনিয়ন যুবদল কমিটি হইতে পদত্যাগ করলাম।
আমরা প্রিয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল ভাইয়ের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভবিষ্যতে সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাব। দল এবং দলীয় আদর্শ থেকে সামান্যতমও বিচ্ছুত হবোনা।
পদত্যাগকারী:
১। মো: সিরাজুল হক (সিনিয়র সহ-সভাপতি) ০১৮১৬৩০৩০৯২
২। মো: মোসলেম উদ্দিন (সহ-সাধারণ সম্পাদক) ০১৮১৮৬৩২২৪৮
৩। মো: এরশাদুল হক (সাংগঠনিক সম্পাদক) ০১৮১৫১৯৭২১৪