অনলাইন ডেস্ক:
নীলের মাঝে কালো ফোঁটা দেওয়া ব্যাঙগুলো ব্রাজিলের সবখানেই দেখতে পাওয়া যায়। এদেরকে নীলাম্বরী ব্যাঙ বলা হয়ে থাকে। সাধারণত মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার রেইন ফরেষ্ট গুলোতে সুন্দর ও বিভিন্ন রঙের এই ব্যাঙগুলোর দেখা মেলে। পৃথিবীর অন্যতম বিষাক্ত প্রাণিদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই নীলাম্বরী ব্যাঙ। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছে ‘অকোপিপি’। নীলাম্বরী ব্যাঙ এতই বিষাক্ত যে, এর বিষ ১০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষ অথবা ২০,০০০ ইঁদুরকে মারতে সক্ষম।
এদের মাত্র দুই মাইক্রোগ্রাম প্রাণঘাতী বিষ একজন মানুষ বা বৃহৎ কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। আমেরিকান রেড ইন্ডিয়ানরা বাঁশের মতো চিকন পাইপে ফুঁ দিয়ে তীর ছুঁড়ে শিকার করে। এই পাইপকে বলে ‘ব্লো পাইপ বা ব্লো গান’ আর তীরটাকে বলে ‘ডার্ট’।

এদের এই তীরের ডগায় বিষ মাখানো থাকে। আর এই বিষ আসে বিষধর ব্যাঙের পিঠ থেকে। তার জন্যে ব্যাঙ মারতেও হয় না। কেবল সেই বিষধর ব্যাঙের পিঠে ডার্টের মাথাটা ঘষে নিলেই হয়। এই কারনে এই ব্যাঙগুলোর নাম হয়ে গেলো প্রিজন ডার্ট ফ্রগ বা প্রিজন অ্যারো ফ্রগ। আমেরিকান রেড ইন্ডিয়ানদের শিকার করা নিয়ে অনেক সিনেমাও রয়েছে। যেখানে এই ব্যাঙ থেকে বিষ নিয়ে তীরে লাগানোর বিষয়গুলো দেলহানো হয়েছে।
সুন্দর ও আকর্ষণীয় রঙ ছাড়াও এই ব্যাঙের আর যে জিনিসটি সহজেই চোখে পড়ে, সেটি হলো কুঁজ। একমাত্র এ ব্যাঙেরই কুঁজ থাকে। বিষধর ব্যাঙের তালিকায় রয়েছে কালো কানের ব্যাঙ, কালো পেয়ে ব্যাঙ, করোবোরি ব্যাঙ ও স্ট্রবেরি ব্যাঙ। আবার রংধনু ব্যাঙ, সোনা রঙা ব্যাঙ, সবুজ, কালো ব্যাঙ, হলুদ ডুরে ব্যাঙ আর বলিভিয়ান ব্যাঙও মারাত্মক বিষাক্ত। ।
অন্য সব বিষধর ব্যাঙের মতো এর খাদ্যাভাসও এক। পিঁপড়া, মাকড়সা, শুঁয়োপোকা এসবই এর খাদ্য।