বিদেশ ডেস্ক:
আফগানিস্তানে চলতি সপ্তাহে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস ও তালেবানের হামলায় নিহত হয়েছেন ২৫০ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী কাবুলে সামরিক একাডেমির বাইরে তালেবানের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৫ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাবুলে এটি দ্বিতীয় দফায় আত্মঘাতী হামলা। এর আগে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় কাবুলের একটি শিয়া মসজিদ ও ঘোর প্রদেশের এক সুন্নি মসজিদে আইএসের আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৭২ জন নিহত হয়।
মসজিদে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থোনিও গুয়েতেরেজ। গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান দুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব এসব হামলার ঘটনায় আফগানিস্তানের জনগণ ও সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, এসব হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ওপর জোর দিন।
এরপর শনিবার সকালে রকেট হামলা চালায় তালেবান। রাজধানী কাবুলের কূটনৈতিক পাড়ায় শনিবার সকালে দু’দফা রকেট হামলা চালানো হয়। চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১০মিনিটের দিকে এ রকেট হামলা চালানো হয়। রকেট দু’টি নগরীর কূটনৈতিক পাড়ার পুলিশ ডিস্ট্রিক্ট ১০ ও পুলিশ ডিস্ট্রিক ৯ এলাকায় আঘাত হানে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুই এলাকায় বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও বিদেশি দূতাবাস অবস্থিত। রকেট হামলার পরপরই দূতাবাস এলাকায় বেজে ওঠা বিপদ সংকেতের শব্দ শোনা যায়। এদিকে রকেট হামলার বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
মিনিবাসের হামলার বিষয়ে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় মিলিটারি একাডেমি থেকে সেনাবাহিনী ক্যাডেটদের বহনকারী মিনিবাস বের হলে সেটিতে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে ১৫ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে আরো ৪ জন।
এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার কান্দাহারের সেনা ক্যাম্পে তালেবানের হামলায় কমপক্ষে ৫৮ সেনাসদস্য নিহত হয়। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেছেন, তারা সন্ত্রাসীদের কোনোভাবেই জয়ী হতে দেবে না। খুব শিগগিরই তাদের দমন করবে সরকারি বাহিনী।