সিবিএন:
কক্সবাজার পৌরসভার মাননীয় মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মহোদয় ও ১০ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি:
দৃশ্যপট এক: আজ সকালে মেয়েকে স্কুলে দিতে গিয়ে দেখলাম জেলা পরিষদের রাস্তার পাশে এখনো আবর্জনার স্তুপটি পড়ে আছে। অনেকদিন পর্যন্ত দেখছি এই আবর্জনা গুলো। এই আবর্জনার পাশেই আবাসিক কোয়ার্টারে থাকেন কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান বাহাদুর মোস্তাক আহম্মদ প্রতিদিন অফিস করে বাসায় যাওয়ার পথে অনেকদিন পর্যন্ত জমিয়ে রাখা এই ময়লা আবর্জনার স্তুপটি উনার চোখে পড়ার কথা।
এই আবর্জনা গুলো দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারিদিকে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রতিদিন এই পথে শতশত স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও অফিসগামী লোকজন যাতায়াত করতে হচ্ছে।
দৃশ্যপট দুই: টিবি হাসপাতালের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে দিয়ে এসে পুরনো শেভরন বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তায় মিশেছে অর্থাৎ মাতৃমঙ্গল হাসপাতালের দেয়ালের পাশেই আরেকটি ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। তার পাশেই পুরনো শেভরনের সামনের রাস্তার পাশে সদর হাসপাতালের সীমানা দেয়াল ঘেষেই অনেকগুলো আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এই রাস্তাগুলোও অনেক ব্যস্থ। সারাদিনই রাস্তায় লোক সমাগম থাকে। এই রাস্তাগুলোতে সরকারী সদর হাসপাতাল, মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল ছাড়াও কয়েকটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে। এখানেও এইসব আবর্জনার কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারিদিকে।
সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা, তত্বাবধায়ক সহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই ময়লা-আবর্জনাগুলো দেখেও দেখছেন না বলে মনে হচ্ছে।
আমার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহোদয় পৌরসভায় প্রতিদিন যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়েই। এই দুর্গন্ধময় আবর্জনাগুলো কাউন্সিলরের চোখও এড়িয়ে যায়।
দূর্ভাগ্য পৌর নাগরিকদের। দেখার কেউ নেই। যারা এসব দেখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বা জনগনের ভোট নিয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন তাঁদের চোখে হয়তোবা ছানি পড়েছে। চোখে কম দেখেন। অথবা দেখেও না দেখার ভান করেন। নয়তো ডেম কেয়ার। প্রয়োজন মনে করেন না।
আমাদের এই প্রিয় শহরটি পৃথিবীর অন্যতম পর্যটন স্পট। সারা বছরই দেশী বিদেশী ট্যুরিস্ট ভরপুর থাকে কক্সবাজার শহরে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর স্থান হিসাবে এই কক্সবাজার শহরটি একসময় সারা দুনিয়ায় পরিচিত ছিল। এই ব্যাপারে আমরা ছোটবেলায় বই পুস্তকেও পড়েছি। কিন্তু এখন নেই। বলাও যাবেনা কক্সবাজার শহর এখন স্বাস্থ্যকর স্থান।
সম্মানিত মেয়র ও কাউন্সিলর বৃন্ধ, নাগরিক হিসাবে আপনাদের কাছে বেশী কিছু চাওয়ার ও পাওয়ার নেই।
আমরা চাই আমাদের সকলের এই প্রিয় শহরটি..
১. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা থাকবে। পরিচ্ছন্নকর্মীদের দিয়ে ডাস্টবিনে রাখা ময়লা-আবর্জনাগুলো প্রতিদিন যেন সরিয়ে ফেলা। একটি সুষ্ঠ পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিমালা থাকবে।
২. পৌর এলাকার রাস্তাগুলো যেন ভাল থাকে।
৩. রাস্তা ও অলিগলিতে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা।
৪. সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা করা।
৫. শহরের জলবদ্ধতা অনেক কমেছে। এই ব্যাপারে পৌর মেয়র ও পৌর কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
তারপরও পৌর এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অতএব, সম্মানিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ শহরের আনাচেকানাচে রাস্তার পাশে উন্মোক্ত ভাবে ফেলে রাখা এইসব বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনাগুলো অতিসত্বর সরিয়ে ফেলুন। এই প্রিয় শহরকে আবর্জনা মুক্ত করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করুন। আরেকটি অনুরোধ, আবর্জনা সরানোর কাজটি দিনে না করে রাতে করা যায় কিনা ভেবে দেখবেন।
উল্লেখ্য, দেশের অনেক বড় বড় শহরেও আবর্জনা সরানোর কাজটি রাত্রিবেলায় করে থাকে।
রাশেদ মোহাম্মদ আলী
১০ নং ওয়ার্ড
সদর হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা।