মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ায় গোলাপ নগর খ্যাত বরইতলী হারবাং-এ গোলাপ নির্ভর পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ। বর্তমান ফুলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা হাতাশাগ্রস্থ তারা। বিগত সময়ের প্রবল বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাস গোলাপ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির করণ বলে জানান কৃষকরা।
অপরদিকে বাজারে কৃত্রিম ফুল বিস্তার লাভ করায় কদর কমছে প্রাকৃতিক ফুলের। সেমিনার, স্টেজ-মঞ্চ, সাজগোজ সহ শোভা বর্ধক আসবাপত্রের প্রকৃতিক ফুলের স্থান দখল করছে এই কৃত্রিমতা। হাজারো প্রতিকূলতার মাঝেও স্বপ্ন দেখছে গোলাপ নগরের ফুল চাষিরা।
গোলাপ চাষি কামাল হোসেন দীর্ঘ ৬-৭ বছর এপেশায় জড়িত। তবে গোলাপের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি অনেকটা হতাশ। গোলাপ চাষি কামাল জানান, কয়েক বছর আগে প্রতিশত গোলাপের সর্বনিম্ন পাইকারী মুল্য ছিল চার থেকে পাঁচশ টাকা। কিন্তু মুল্য কমে বর্তমান সময়ে তা দুই-তিনশ টাকায় চলে আসছে। এর কারণ হিসেবে বাজারে কৃত্রিম গোলাপের প্রভাব বিস্তার বলে জানায় তিনি। এ অবস্থা যদি চলতে থাকে আগামী দশ বছরে গোলাপ চাষ থাকবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেন চাষিরা। তারপরেও গোলাপের ভালবাসা ত্যাগ করতে পারছেন না চাষিরা। শত দুঃখ দুর্দশা অতিক্রম করে উৎপাদন করছে ভালবাসার লাল গোলাপ। বর্তমানে ইউনিয়নে প্রায় দুইশত একর জমিতে হচ্ছে ফুলের চাষ।
হিসেব মতে, স্থানীয় চাষিরা ফুল বিক্রি বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা আয় করছেন।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার জানান, দুই দশক ধরে এই ইউনিয়নে ফুলের চাষ হচ্ছে।
বাণিজ্যিক ভিক্তিতে ফুলের চাষ করায় সারা দেশের মানুষ এখন বরইতলীকে গোলাপ নগর হিসেবে চেনে।
চকরিয়ার গোলাপ নগরের এ ফুলের চাষ নিয়ে দেশে সুনাম অর্জন করে আসলেও সরকারীভাবে এপর্যন্ত কোন অনুদান পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যানসহ গোলাপ চাষিদের মতে সরকারিভাবে যদি নজরদারী দেওয়া হলে প্রতিকূলতার মাঝেও এর সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব হবে।
প্রতিকূলতার মাঝেও স্বপ্ন দেখছে গোলাপ চাষিরা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।