আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের সেন্ট হিউ কলেজের মূল ফটক থেকে শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চির ছবি আগেই সরানো হয়েছে। এবার কলেজটি জুনিয়র কমনরুম থেকে সু চির নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা সু চির নাম কমন রুম থেকে মুছে ফেলার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
রাজনীতি, দর্শন ও অর্থনীতি বিষয়ে সেন্ট হিউ কলেজে ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন সু চি। ২০১২ সালে ৬৭তম জন্মদিন কলেজে পালন করেছেন তিনি। ওই বছরই তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয় অক্সফোর্ড।
কিন্তু ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে সু চির অবস্থানকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না কলেজটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সারাবিশ্ব থেকেই অবশ্য সু চির সমালোচনা করা হচ্ছে।
সেন্ট হিউ কলেজ জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে নারী, পুরুষ, শিশুদের ওপর যে বর্বরতা চলছে, সেই ঘটনায় সু চির অবস্থান অগ্রহণযোগ্য। তিনি যে নীতি-আদর্শের কথা একসময় বলতেন, এখন তার অবস্থান একেবারেই ভিন্ন।
তবে সু চির সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে না অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে তার শান্তিতে পাওয়া নোবেল ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে নরওয়ে নোবেল কমিটি।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার জেরে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হিসাবমতে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনাকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।
সূত্র : গার্ডিয়ান
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।