সিবিএন : স্বামীর পরকিয়া প্রেম সহ্য করতে না পারায় স্ত্রী হত্যা করল স্বামীকে। স্ত্রী ও পরিবার কোন তথ্য না দেয়ায় মামলা হল অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে । আর এহেন মামলায় স্বল্পতম সময়ে  রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।

থানা সুত্রে জানাযায় , কক্সবাজার সদরের  ঝিলংজা  পশ্চিম লারপাড়া ইসলামাবাদে ১৭ অক্টোবর সকাল অনুমানিক ৭ টায় জনৈক আবদু শুক্কুরের জমিতে অর্ধনগ্ন ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত সন্বলিত  একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃত ব্যক্তির নাম মোঃ দেলোয়ার হোসেন পুতিক্যা (৩৫) ।  তার বাড়ী ও ঘটনাস্থলেরই পার্শ্বে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তার পরিবার বা এলাকার লোকজনের নিকট হতে কোন তথ্য না পাওয়ায়  অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার মামলা নং- ৪৪, তারিখ- ১৮/১০/২০১৭ ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ রুজু হলে মামলার তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র)  মোঃ আবুল কালাম, ইনচার্জ সৈকত পুলিশ ফাঁড়ী, কক্সবাজার সদর মডেল থানা, কক্সবাজার এর নামে হাওলা করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা  মোঃ আবুল কালাম, অফিসার ইনচার্জ কক্সবাজার সদর মডেল থানার নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)  মোঃ কামরুল আজম ও পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন)  মোঃ মাইন উদ্দিন এর সমন্বয়ে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অতি স্বল্প সময়ে ক্লু-বিহীন উক্ত মামলার রহস্য উদঘাটন করে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল আসামী মৃতের স্ত্রী রুবি আকতার ও তার সহযোগী মৃতের আপন ছোট ভাই কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করেন এবং গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মৃতের বসতঘর হতে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা স্বরূপ আসামী কর্তৃক লুকায়িত মৃতের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল, মোটর সাইকেলের চাবি ও তাহার অফিসের চাবি উদ্ধার করেন। মূল আসামী মৃতের স্ত্রী রুবি আকতার বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী মৃতের বড় ছেলে হৃদয় সুলতান তাহার মাতা কর্তৃক পিতাকে খুন করার বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।

উল্লেখ্য,  ১৭ বৎসরের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়া দ্বন্দের কারণে  স্বামীর পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি আসামী রুবি আকতার মেনে নিতে না পারায় ঝগড়া-বিবাদের এক পর্যায়ে উক্ত হত্যাকান্ডটি ঘটিয়ে মৃতের ভাই কামাল ও মূল আসামীর বোনের ছেলে বাবুর সহায়তায় লাশটি ঘর হতে বাহির করে পার্শ্ববর্তী জমিতে ফেলে রাখে।