এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া
চকরিয়া পৌরশহরে মার্কেটে সীমানা বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনায় ঘটনায় বুধবার চকরিয়া থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মার্কেট মালিকের ছেলে লায়ন আলমগীর আলম বাদি হয়েছেন।
এতে আসামি করা হয়েছে- স্থানীয় আমির হোছনের ছেলে জয়নাল আবেদিন, সহযোগি মোহাম্মদ রুবেল, মৃত ফজল করিমের ছেলে মো.ইসমাইল, খোরশেদ আলম খুসুর ছেলে মো.ফোরকান, মৃত করিম দাদের ছেলে শফি আলম, খোরশেদ আলম খুসু, জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী বিলকিছ আক্তার ও মোহাম্মদ রুবেলের স্ত্রী বুলবুল আক্তাকে। এছাড়াও মামলার এজাহারে আরো ১০-১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
পৌর শহরের থানা রাস্তার মাথায় এলাকায় অবস্থিত এম রহমান কমপ্লেক্স ও পাশের নির্মানাধীন একটি মার্কেটে সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একমাস ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বিচারাধীন রয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে উপজেলা চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে শান্তিশৃংখলা বজায় রেখে সার্ভেয়ার নিয়োগ করে জায়গার পরিমাপ চুড়ান্ত না হওয়া পযর্ন্ত দুইপক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশনা দেন।
আগেরদিন দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় মার্কেট মালিকসহ ৫জন আহত হন। আহতরা হলেন মার্কেট মালিক হাজী আবুল ফয়েজ মন্টু মিয়া (৭৩), তাঁর ছেলে লায়ন আলমগীর আলম (৪০), আত্মীয় জহির আহমদ সওদাগর (৫৫), মোহাম্মদ ফারুক (২৮), বাহাদুর আলম (৪৮)।
আহতদেরকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত জহির আহমদ সওদাগর ও মোহাম্মদ ফারুককে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তারমধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল দুপুরে আহত জহির আহমদ সওদাগরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া পৌরশহরের থানা রাস্তার মাথা এলাকায় ঘটেছে এ হামলা ঘটনা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের দেয়া মধ্যস্থতাকারী রশিদ আহমদ উভয়পক্ষকে নিয়ে বিরোধীয় সীমানা এলাকায় শালিসী বৈঠকে বসেন। মার্কেট মালিক আলহাজ ফয়েজ মন্টু মিয়ার ছেলে লায়ন মোহাম্মদ আলম অভিযোগ করেন, শালিসী বৈঠক চলাকালে মধ্যস্থতাকারী রশিদ আহমদের উস্কানীতে প্রতিপক্ষের ১৫-২০জনের ভাড়াটিয়া দুবর্ুৃত্ত সেখানে এসে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মার্কেট মালিকসহ অন্তত ৫জন আহত হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আক্রান্ত পক্ষের দায়ের করা একটি অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।