হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
মিয়ানমার বাহিনীর গুলিতে আহত পুত্র নিয়ে ৮ সদস্যের পরিবারসহ অসহায় রোহিঙ্গা অন্ধ হাফেজ আবদুর রহমান এখন উখিয়া উপজেলার থাইংখালীতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ট্রলার ভাড়া ও মিয়ানমার সেনাদের গুলিতে আহতদের বাংলাদেশে পাঠানো বাবত বিশাল অংকের দেনার দায়ে জর্জরিত ছাড়াও গুলিবিদ্ধ ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে ভিক্ষার ঝুলি মাথায় নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে, রাস্তায় ও মসজিদের দরজায় ঘুরছেন অন্ধ এ হাফেজ আবদুর রহমান (৪৮)। তিনি টেকনাফের লেদায় কিছুদিন ছিলেন। কিন্ত ভাড়া দিতে না পারায় সপরিবারে থাইংখালীতে চলে যান। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এবং পাহাড়ী ঢলে ঝুপড়ি বাসাটিও নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান।
তাঁর সংসারে রয়েছেন স্ত্রী দিল বাহার বেগম (৩৭), পুত্র শফিক আলম (১৮), মিয়ানমার বাহিনীর গুলিতে আহত মোঃ আলম (১৬), কন্যা ফেরদৌস বেগম (১৪), পুত্র মোঃ রিদুয়ান (১২), মোঃ জোহার (১০), কন্যা হুরি জন্নাত (৮)।
অন্ধ হাফেজ আবদুর রহমানের ২য় পুত্র মোঃ আলম (১৬) মিয়ানমার বাহিনীর গুলিতে আহত। ডান হাতে ও ডান পায়ে গুলি লেগেছে। বেপরোয়া নির্বিচারে করা ব্রাশ ফায়ারের গুলি। তাঁদের বাড়ি মিয়ানমারের মংডু মেরুল্লার ঝুমপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মৃত আবদুচ্ছালাম।
অন্ধ হাফেজ আবদুর রহমান বলেন ‘মিয়ানমার বাহিনীর গুলিতে আহত পুত্র মোঃ আলমের চিকিৎসার জন্যও প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে ধার-কর্জ করে। ঔষধ কিনতে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। এখনও ক্ষত স্থান শুকায়নি। হাতে-পায়ে প্রচন্ড ব্যথা। ধাক্কা-ধাক্কি করে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণও সংগ্রহ করা যাচ্ছেনা। ট্রলার ভাড়ার দেনার টাকা, গুলিবিদ্ধ পুত্রের চিকিৎসার জন্য জরুরী ঔষধ কেনার টাকা এবং ৮ সদস্যের পরিবারের খরচের টাকা যোগাড় করতে নিরুপায় হয়ে ভিক্ষায় নামতে হয়েছে। দানশীল যে কোন ব্যক্তি ও সংগঠনকে আমার ০১৮৩৫৪৪৫১৪৮ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি’।