নিজস্ব প্রতিবেদক :
সংবাদের খোঁজে প্রতিমুহুর্তেই ঘুরে ফিরছে সাংবাদিকরা। সেই ঘুরাঘুরির মাঝেই চোঁখে পড়ে অনেক কিছু। যা হয়তো অনেকেরই মনে হবে না সংবাদ! কিন্তু মেধাদীপ্ত সাংবাদিক মন লিখতে চায়। জানাতে চায় তারা পাঠকদের। কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়ার এমনই দুটি সচিত্র প্রতিবেদন (সংবাদ) তৈরী করে আলোচনায় এসেছেন দুই সাংবাদিক।
এরা হলেন দৈনিক সাঙ্গুর নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুল হামিদ ও আজকের কক্সবাজারের নিজস্ব প্রতিবেদক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী। ইতোমধ্যে তাদের কল্যানে বিশ্ববাসীর নজরে এসেছেন-বাংলাদেশের সব চেয়ে লম্বা ৭ ফুট ৮ ইঞ্চির জিন্নাত আলী (২০) ও দেশের অন্যতম খাটো ৩ ফুট ৭ ইঞ্চির জাকের হোছন (৪৫)। মজার বিষয় হচ্ছে তাদের দুজনের বাড়ি গর্জনিয়া ইউনিয়নে। কিন্তু ফারাক হলো জিন্নাত অবিবাহিত আর জাকের খাটো হলেও সংসার করছেন তাঁর চেয়ে দ্বিগুণ লম্বা মেয়ের সঙ্গে। তবে সাংসারিক জীবনে এখনো সন্তানের দেখা মেলেনি। দুজনের পরিবারের অভাব অনটান অনেকটা মিল।
পার্বত্যনিউজ ডটকমে সর্ব প্রথম ‘দেশের সবচেয়ে লম্বা মানুষ কি রামুর গর্জনিয়ায়?’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রচার করেন সাংবাদিক আবদুল হামিদ। আর ‘দেশের অন্যতম খাটো মানুষ রামুর গর্জনিয়ায়, কোমরসম ব্যক্তির বউ হাজেরা’ শিরোনামে সর্বপ্রথম কক্সবাজার সময় ডটকমে প্রতিবেদন প্রচার করেন সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী। প্রকাশিত হয় দৈনিক সাঙ্গু ও আজকের কক্সবাজার পত্রিকায়। যা রীতিমত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে ভায়রাল হয়। মূলত এ দুই সাংবাদিকের লেখনিতে জিন্নাত আলী এবং জাকের হোছনের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে।
জানতে চাইলে সাংবাদিক আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি দেশবিদেশে ঘুরেও জিন্নাতের মতো লম্বা মানুষ দেখিনি। বাইশারি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামে জিন্নাতকে দেখার পর আমি হতবাক হয়ে যায়। পরে তাকে নিয়ে অনুসন্ধান চালায়। প্রথমেই মনে হয়েছে সে অসুস্থ। তার বাড়ি গিয়ে সেই গল্প তোলে আনলাম সংবাদে। লেখনির মাধ্যমে জানতে পেরে বর্তমানে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। সাংসদ তাকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন এবং প্রতিমাসে দশ হাজার টাকা দিবেন বলে ঘোষণাও করেছেন।’
সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘দেশে অনেক খাটো ব্যক্তি রয়েছে। কিন্তু যখন খবর পেলাম জাকের হোছন ৪৫ বছরেও সাড়ে ৩ ফুট এবং সে সংসার করছেন প্রায় দ্বিগুন লম্বা হাজেরার সঙ্গে। তখনই আমার মনে কৌতুহল জন্ম নেয়। পরদিন সাঁজ সকালে পাহাড়ঘেরা শাহমোহাম্মদ পাড়াস্থ তাঁর নিজ বাড়িতে গেলাম। আমার উপস্থিতির খবর পেয়ে ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে এল জাকের। সেটাই তাঁর বসতঘর। আর কথা বলতে বলতে তৈরী হলো গল্প। সেই গল্প নিয়েই তৈরী করেছি সংবাদ। এখন জাকের দেশ তথা বিশ্বব্যাপি আলোচিত। তাকে অনেকেই আর্থিক সহযোগিতা করছেন।’