সিবিএন ডেস্ক:
চারটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।চিকিৎসা শেষে তিন মাস পর লন্ডন থেকে ঢাকায় আসছেন তিনি। তাকে সংবর্ধনা দিতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি দল ও দলের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর এলাকায় জমায়েত হয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে রাস্তার পাশে অবস্থান নেবেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে চারটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- জিয়া অরফানেজ মামলা, জিয়া অরফানেজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা, কুমিল্লায় নাশকতা মামলা এবং মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলা। এই চারটি মামলার মধ্যে একটি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৯ অক্টোবর ধার্য আছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন,গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও ভীত নন খালেদা জিয়া। এমনকি দলের নেতাকর্মীরাও পরবর্তী পদক্ষেপ দেখতে অপেক্ষায় আছেন। তবে দেশে ফিরেই খালেদা জিয়া আদালতের ধার্য করা তারিখগুলোতে হাজিরা দেবেন। সেক্ষেত্রে দেশে ফিরেই প্রথম হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার। এদিন ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে হাজিরা দিতে পারেন বিএনপি প্রধান। তবে লন্ডন থেকে দীর্ঘ সফরের ধকলের ওপর নির্ভর করবে, তার হাজির হওয়ার বিষয়টি।
বিএনপি নেতারা এরইমধ্যে খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন ১৯ অক্টোবর আদালতে হাজিরা দিতে।গত ১২ অক্টোবর চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ বৈঠকে দলীয় মহাসচিবের মাধ্যমে আইনজীবীরা এ বার্তা পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার কাছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া ১৮ অক্টোবর বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে দেশে এসে পৌঁছবেন। দীর্ঘ পথ জার্নি করার পরে তার মতো একজন বয়স্ক মানুষের কিছুটা অস্বস্তিবোধ করাটাই স্বাভাবিক। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৯ অক্টোবর। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্টের মামলায় হাজির দেওয়ার কথা রয়েছে তার।’
মাসুদ আহমেদ তালুকদার আরও বলেন, ‘১৮ অক্টোবর দেশে ফিরে পরদিনই আদালতে হাজির হওয়ার সামর্থ্য থাকবে কিনা তার, সেটা অনুমান করে বলা সম্ভব না। তবে এটা নিশ্চিত, ম্যাডাম জিয়া আইন মান্যকারী নাগরিক। তার বিরুদ্ধে কয়টা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেটা, তিনি আদালত ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিক। তিনি সুস্থবোধ করলে অবশ্যই আদালতে হাজিরা দেবেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৬ জুলাই খালেদা জিয়া লন্ডন যান। সেখানে তার পা, হাঁটু ও চোখের চিকিৎসা করানো হয় বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।