বাংলাদেশ ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য ইউনাইটেড নেশনস চিলড্রেন ফান্ড (ইউনিসেফ) এর মাধ্যমে ছয় মাসের জন্য ৭৫০,০০০ মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তা প্রদান করেছে জাপান সরকার।
জরুরী অনুদান সহায়তা এই এলাকায় চলমান ইউনিসেফ কার্যক্রমে সহায়তা করবে।
২৫ শে আগস্ট থেকে, ৫৩৬০০০ রোহিঙ্গা কক্সবাজার জেলায় এসেছেন যারমধ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শিশু অনুমান করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন অস্থায়ী ক্যাম্প এবং বসতিগুলির মধ্যেবেশিরভাগই ঝুপড়ি ও করুণ অবস্থায় বসবাস করছে তারা।
“রোহিঙ্গা শিবিরে সুপেয় পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভয়াবহ এবং প্রতিদিনের নতুন রোহিঙ্গাদের আগমনের ফলে অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী এডুয়ার্ডবেগবেডার বলেন, এটি ডায়রিয়া এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগ বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি বাড়িয়েছে “।
“তাছাড়া, মায়ানমারতে সহিংসতার কারণে শিশুরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং তাদের মনস্তাত্ত্বিক ও বিনোদনমূলক সহায়তা প্রয়োজন।”
রোহিঙ্গাদের গুরুতর মানবিক বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪,৮০০ রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারকে সরাসরি এবং ৬০০০০ পরিবারকে পরোক্ষভাবে WASH সুবিধা প্রদান করে রোহিঙ্গাদের গুরুতরমানবিক অবস্থা মোকাবেলা করা হবে। গত রবিবার বলেছেন ইউনিসেফ প্রতিনিধি।
তাদের নিরাপদ পানীয় ,আলাদা বসবাসের সুযোগ, এবং অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য ল্যাট্রিন এবং স্নান ঘরের ব্যবস্থা, হস্তশিল্পের সুবিধা, স্বাস্থ্যবিধি প্রচারনা এবং ওয়াশের জরুরী সেবাসমুহ প্রদান করাহবে।
এছাড়াও জরুরী শিশু সুরক্ষা পরিষেবা, পরামর্শ সহায়তা, কেস ম্যানেজমেন্ট, এবং দুস্থ পরিবারের শিশুদের সহায়তার মাধ্যমে ৫,০০০ শিশুকে সরাসরি এবং ২০০,০০০ শিশুকে পরোক্ষভাবে সহায়তাপ্রদান করবে।
রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারের জরুরী প্রয়োজন মেঠানোর জন্য জরুরী অনুদান সহায়তা দেয়া হবে এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার মধ্যে শক্তিশালী সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেফগ্রহন করা হবে।