শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:
রামু উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের পানের ছড়া ঢালা এলাকাটি চলতি বর্ষায় পাহাড়ী ঢলের পানিতে পাশর্^বর্তী নদীতে বিলীন হয়ে পড়ায় বর্তমানে উক্ত এলাকা হতে প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ১২অক্টোবর সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, যে কোন মুহুর্তে সড়কে চলাচলকৃত গাড়ীগুলো উক্ত এলাকায় নদীতে পড়ে গিয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, সরু রাস্তা ও কাঁদামাটিতে ভরপুর সড়কটিতে কোনমতেই গাড়ী পারাপার চলছে। একটু এদিক ওদিক হলেই গাড়ীটি যে কোন মুহুর্তে যাত্রীসহ নদীতে পড়ে যেতে পারে। অপরদিকে একটি বৃষ্টি হলেই আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে উক্ত এলাকাটি। যানবাহনগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও বিগত কয়েক মাস ধরে তা যেন দেখার কেউ নেই। এভাবে আর কতকাল, কতদিন ঈদগড়-ঈদগাঁও-বাইশারীর প্রায় লক্ষাধিক জনগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করবে তাও সঠিক বলা যাচ্ছে না। বিশেষ করে চলতি এ বর্ষায় রাস্তাটি উক্ত এলাকায় ভেঙ্গে গেলে মালামাল পার করতে গিয়ে চরম হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। যার ফলে নিত্যপণ্যের দাম ঈদগড়-বাইশারীতে প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, উক্ত এলাকাটি একদিকে নদীগর্ভে বিলীন, অপরদিকে কাঁদামাটিতে ভরপুর এবং বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহনগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকে কাঁদামাটিতে। সেসময় যাত্রীদেরকে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। এভাবে প্রহর গুণতে গুণতে কখন যে দিন শেষে রাত পেরিয়ে যায় তাও বুঝতে পারে না যাত্রীগণ। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা বৃষ্টিতে ভিজতে হয় মহিলাসহ সকল যাত্রীদেরকে। এছাড়া উক্ত এলাকাটি ডাকাত কবলিত এলাকা এবং হাতি চলাচলের একমাত্র পথ। সেদিক দিয়েও নানা ভয়ভীতির ভিতর এ বিপদজনক এলাকাটিতে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির উক্ত এলাকার এ বেহাল দশা কবে নাগাদ সমাধান হবে এবং জনসাধারণ বিপদমুক্ত চলাচল করতে পারবে কেউ জানে না। প্রতি বর্ষাকালে উক্ত এলাকাসহ সড়কের আরো বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। কিন্তু এবারের ভাঙ্গনটা অতীতের চেয়ে খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ফলে দূর্ভোগের শেষ নেই এলাকাবাসীর। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ঈদগড়-ঈদগাঁও-বাইশারীর লোকজন উক্ত ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও জনপ্রতিনিধিদের এ নিয়ে তেমন কোন মাথাব্যাথা নেই বললেই চলে। ঈদগড় হাসনাকাটার বাসিন্দা সাংবাদিক এইচ.এম রুস্তম আলী জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী সিএনজি, মোটর সাইকেল, বাস, পিকআপ, মাইক্রোসহ বিভিন্ন গাড়ী দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে উক্ত এলাকাটি আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কোনমতেই যানবাহন চলাচল অসম্ভব হয়ে উঠছে। দ্রুত মেরামত করা না হলে বর্তমানে যে বিকল্প সড়ক দিয়ে গাড়ীগুলো চলাচল করছে তাও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যান চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সড়কটি দিয়ে প্রায় সময় সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী ও হাজারো ব্যবসায়ীগণ চলাচল করছে। কিন্তু সড়কটি সংস্কারে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারী কর্মকর্তাদের তড়িত কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ফলে এলাকার জনগণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। মাগরিবের পর হতেই চরম ঝুঁকি নিয়ে তথা মৃত্যুকে সঙ্গী করে চলাচল করছে জনসাধারণ। ডিজিটাল এ যুগে এমন সমস্যা তা মেনে নিতে পারছে না সড়কে চলাচলকৃত যাত্রীরা। এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টোর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বলে জানান।