সংবাদদাতা:
কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থা কতৃক আয়োজিত জেলা ফুটবল লীগে বিতর্কিত রেফারীর কারনে খেলা দেখতে আসা দর্শকরা হতাশ হয়েছে এছাড়া বিপুল টাকা খরচ করে ফুটবল ক্লাব চালানো কর্মকর্তারাও চরম ক্ষোবের বহিপ্রকাশ করেছে। এসময় মাঠে আসা অনেক সচেতন ফুটবল বুদ্ধারা রেফারীদের প্রশিক্ষন এবং তাদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। ন্যাশনাল কক্সে ক্রীড়া সংঘের কর্মকর্তা মোঃ জাহেদ উল্লাহ অভিযোগ করেন, ১১ অক্টোবর স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্টিত সেমিফাইনাল খেলায় হাজার হাজার দর্শক স্বাক্ষি কিভাবে বাজে রেফারীর কারনে আমাদের দলের হার মানতে হয়েছে।
১৮ মিনিটে ডিবক্সের প্রায় ৩ ফুট ভিতরে দলীয় খেলোয়াড় সানডে কে অবৈধ ভাবে বাধা দিলে মধ্যমাঠের রেফারী মাহমুদ হাসান মামুন পেনাল্টির বাশি বাজিয়েছিল এবং উপস্থিত সবাই দেখেছে তিনি ইশারাও করেছে পেনাল্টির এবং তিনি পেনাল্টি মারার জন্য পরিবেশও তৈরি করছিলেন সেই মুহুর্তে সাইটরেফারী একটি দলের কর্মকর্তা শফির আপত্তির প্রেক্ষিতে রেফারীর সিদ্ধান্ত বদল করেছে। এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
কারন আমাদের জানা মতে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেবে রেফারী সেখানে লাইন্সম্যানের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। সেই গোল যদি আমরা পেতাম তাহলে আমাদের টিম ৩ গোলে এগিয়ে থাকতো। এবং জয় আমাদের হতো।
এছাড়া ৫০ মিনিটে আবারো সেই লাইন্সম্যান শফি বিতর্কিত ভাবে আমাদের বিপক্ষে থ্রুদিয়ে আমাদের খেলাকে নস্ট করেছে।আমার পাশ বসা শেখ জামাল ক্লাবের কর্মকর্তাও বলছে সেটা পেনাল্টি ছিল রেফারীর এক সিদ্ধান্তের কারনে আমাদের ৫/৬ লাখ টাকা খরচ করা টিম শেষ হয়ে গেছে।
এ সময় কক্সবাজার টাউন ক্লাবের কর্মকর্তা মংক্য রাখাইন বলেন ১০ অক্টোবর আমাদের সাথে রামু শতদল ক্লাবের মধ্যকার খেলা রেফারী আবদুল মজিদের কারনে হেরেছি। কারন শুরু থেকে তার পক্ষপাত মূলক আচরনের স্বিকার হয়েছে আমাদের খেলোয়াড়রা। আমি মনে করি তাদের আরো ভাল করে প্রশিক্ষন এবং যোগ্যতা অর্জন করা দরকার।
গতকাল মাঠে খেলা দেখতে আসা অনেক সাবেক খেলোয়াড় বলেন এই ম্যাচ রেফারীর বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারনে ন্যাশনাল কক্স হেরেছে। এটা নিয়ে অনেক বড় দূর্ঘটনাও হয়ে যেতে পারতো। তাই আামদের দাবী রেফারীদের আরো দক্ষতা অর্জন করা দরকার।
রেফারীর বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দর্শক ও কর্মকর্তা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে