মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজাদ, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :

জেলার বাণিজ্যিক এলাকা নামে খ্যাত ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিণ পাশের্^র সওদাগর পাড়া থেকে বঙ্কিম বাজার পর্যন্ত সড়কটি যেন মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ঐ স্থানে একাধিক দূর্ঘটনা ঘটছে। ঐ স্থান পারাপারের সময় অনেকে বিপদের দোয়া পড়তে পড়তে ঐ স্থান অতিক্রম করে। আবার অন্যদিকে পরিবহন সেক্টরের একাধিক টমটম সমিতি থাকলেও তারা চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত। তারাও দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। প্রতিদিন টমটম প্রতি ৩ সমিতি একাধিক টাকা হাতিয়ে নিলেও তাদের ঐ চাঁদা থেকে কোন কাজ জনকল্যাণে করছে না বলেও অভিযোগ তুলেছে টমটম চালকরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিগত বছর কয়েক দফায় ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়ক ভূমি অফিস ও চৌফলদন্ডী সড়ক বঙ্কিম বাজার পর্যন্ত এসেই কোন অদৃশ্যের ইশারায় সড়কের কাজগুলি থেমে যায়। ফলে সওদাগর পাড়ার রাস্তার মাথা ও বঙ্কিম বাজার এলাকাটি মানুষের মরণ ফাঁদে পরিনত হয়ে আছে। বিশেষ করে সওদাগর পাড়ার রাস্তার মাথাটি জনচলাচলের ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন টমটম উল্টে আহতের দৃশ্য চোখে পড়ে। গত এক সপ্তাহে প্রায় ১৭টি টমটম উল্টে ৩৭ জনের মত আহতের ঘটনা ঘটেছে। অথচ কক্সবাজারের সিংহভাগ আয়ের উৎস সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে বৃহত্তর ঈদগাঁও থেকে। ঈদগাঁওর ২ কৃতি সন্তান কক্সবাজারের সর্বোচ্চ স্থানে বসে থাকলেও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিকল্প সড়ক তথা কক্সবাজার চৌফলদন্ডী সড়ক দিয়ে যাতায়াত করায় এ দৃশ্যটি হয়ত তার চোখে পড়ে না। অন্যদিকে কউক চেয়ারম্যানের বাড়ি এ ঈদগাঁও ইউনিয়নের ও এ সড়ক দিয়ে তাকে যাতায়াত করতে হয়। অথচ তিনিও বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করায় হয়ত এ মরণ ফাঁদগুলি তাদের চোখে না পড়ায় ঈদগাঁওবাসীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঐ স্থান দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে এ মরণ ফাঁদটি মেরামত করা না গেলে মৃত্যুর মত অঘটন ঘটবে নিঃসন্দেহে। তাই দ্রুত গতিতে ঈদগাঁও বাসীর এ প্রাণের দাবীটি পূরণ করতে জেলার এ ২ কর্ণধারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। ঐ সড়ক দিয়ে ঈদগাঁও, জালালাবাদ, পোকখালী, চৌফলদন্ডী, খুরুষ্কুলসহ কক্সবাজারের লক্ষাধিক জনগণ প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকে। অপরদিকে বিকল্প সড়ক তথা আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সড়কটিও আরেক মরণ ফাঁদে পরিণত। ছাত্রছাত্রীরা ময়লা-আবর্জনার পানিতে প্রতিনিয়ত তাদের কাপড়-চোপড়গুলিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেকে ময়লা-আবর্জনায় বোরকা কিংবা ড্রেস পরেই মাদ্রাসা কলেজে যেতে হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এ সড়কটিও চলাচলের অযোগ্য। তাই দ্রুতগতিতে এ সড়কটিও মেরামতের দাবী জোরালো হচ্ছে। অন্যথায় এ ২ সড়কটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়বে।