নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবি, নারী-শিশুসহ ১২ জনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০৯:৩১ , আপডেট: ৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০৯:৩৫

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


নৌকাডুবি থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকজন। ছবি-জসিম মাহমুদ।

ইমাম খাইর, সিবিএন:

টেকনাফের নাফ নদীতে ফের রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ১২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২০ থেকে ৩০ জনের মতো।

কোস্ট গার্ড ও বিজিবি স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

রোববার (০৮ অক্টোবর) রাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় উত্তাল সাগরে প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, বিজিবির সদস্যরা রাত ১১টা পর্যন্ত আটজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। আর নারী-শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার হওয়াদের দাবি, এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।

টেকনাফ থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন খান জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও অনেক নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধার অভিযান চলছে।

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর টেকনাফের পাশের উপজেলা উখিয়ার ইনানী সৈকতের কাছে সাগরে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় ২০ জন মারা যান।

নৌকাডুবিতে সাঁতরিয়ে কূলে উঠে আসা মোহাম্মদ জাফর আলম জানান, সেনাবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিবারের সাত সদস্যকে নিয়ে বুচিদংয়ের মাইদং পাহাড় পেড়িয়ে নাইক্ষ্যংদিয়া আসি। পরে একটি নৌকায় করে প্রায় ৪০জনের মতো রোহিঙ্গা নিয়ে টেকনাফে আসার পথে নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা বদরমোকাম এলাকার ঘোলারচরে ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌকাটি উল্টে যায়। মা আয়েশা খাতুন, স্ত্রী মাজেদা বেগম ও আমি কুলে উঠে আসতে পারলেও দুই বোন ও দুইজন শিশু ছেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত শিশু, নারী ও পুরুষসহ ৮ জনকে বিজিবির টহল দল উদ্ধার করেছে। জীবিত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা ২১জনের মতো নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবী করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি লোক ওঠায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।