হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

টেকনাফে ব্যক্তি উদ্যোগে একাধিক রোহিঙ্গা বস্তি গড়ে উঠছে। বিশেষ করে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ক্যাম্প সংলগ্ন ব্যাপক হারে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে এমনকি কবরস্থানেও রোহিঙ্গা বস্তি করা হচ্ছে। তা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, টেকনাফ পৌরসভাসহ প্রত্যেক ইউনিয়নেই রয়েছে ব্যক্তি উদ্যোগে একাধিক রোহিঙ্গা বস্তি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার মাইকিং করা সত্বেও মানা হচ্ছেনা। এতে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।

টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র প্রশাসনিক ভবন ও আবাসিক কোয়ার্টারের পশ্চিমে সংরক্ষিত পাহাড়ে ঝুপড়ি করে বসতি স্থাপন করেছে নতুন অনুপ্রবেশকারী ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবার। পুরো পৌরসভা জুড়ে ভাড়া বাসা ছাড়াও নাইট্যংপাড়া, নতুন পল্লানপাড়া, পুরান পল্লানপাড়া, কায়ুকখালী পাড়া, উত্তর জালিয়াপাড়া, দক্ষিণ জালিয়াপাড়া, স্লুইচপাড়া, খানখার ডেইল, অলিয়াবাদ, ইসলামাবাদ, কলেজপাড়া, শীলবনিয়াপাড়া, ডেইলপাড়া, কুলালপাড়ায় অনুপ্রবেশকারী নতুন রোহিঙ্গায় ভরপুর। পৌর কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোঃ আবু হারেছ বলেন ‘৫ অক্টোবর পর্যন্ত জরীপ করে শুধু তাঁর ওয়ার্ডেই ৪৫৩ পরিবার নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে’।

এভাবে শুধু পৌরসভা নয়, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, সাবরাং ইউনিয়ন, বাহারছড়া ইউনিয়ন, হ্নীলা ইউনিয়ন ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের প্রত্যেকটা গ্রামে নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গায় ভরে গেছে। মাসিক ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ভাড়ায় ১০ হাত লম্বা ৮ হাত প্রস্থ স্থানে রোহিঙ্গাদের নিজ খরচে ঝুপড়ি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভাড়া বৃদ্ধি হয়। এমনও দেখা গেছে, বসতভিটায় সামান্য খালী জমিতেও রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি।

টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল্লাহ কোম্পানী জানান পুরো ইউনিয়নের সৈকতে ঝাউবাগান জুড়ে ছিল রোহিঙ্গা বস্তি। গত বছর ঝাউবাগান থেকে উচ্ছেদ করায় রোহিঙ্গারা সৈকতের কাছাকাছি স্থানে, সরকারী খাস জমি, বনভুমি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে কলোনী করে বসবাস করছে। এদের প্রধান পেশা সাগরে মাছ শিকার। ১ হাজারের ও বেশী ফিশিং ট্রলারে ৫ জন করে রোহিঙ্গা শ্রমিক কাজ করে আসছে যুগ যুগ ধরে। এখানে কমপক্ষে ৬ হাজার পরিবারের প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশী রোহিঙ্গা রয়েছে। একইভাবে বসবাস করছে আরও দ্বিগুণ নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা।

হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী গ্রামে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উভয় দিকে বিশাল এলাকা জুড়ে বন ভুমি ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে লম্বা লম্বা কলোনীর মতো রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ির বস্তি। পৌর এলাকায় ভাড়া বেশী হলেও পৌর সভার বাইরে ভাড়া কম। তবে মাসিক ৫০০ টাকার কম নেই। টাকার লোভে আলীখালীতে পুরাতন কবরস্থানও বাদ পড়েনি। কবরস্থানেও গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা বস্তি। যেদিকে চোখ যায়, সব লম্বা লম্বা রোহিঙ্গা বস্তি। মাঝে-মধ্যে কয়েকটা স্থানীয়দের বসতবাড়ি। সবই এক দর। মাসিক ৫০০ টাকা। তবে ক্যাম্পের পাশে হলে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় বিধায় ভাড়ার মধ্যেও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এ তথ্য।

আলীখালী কবরস্থানের উপর তৈরী করা রোহিঙ্গা বস্তির নেপথ্যে রয়েছেন মোঃ হোছন, জাফর আলম, গোলাম আজম, জকির আহমদ, মিজান, লিয়াকত আলী প্রমুখ। ইট ভাটা বস্তির নেপথ্যে আছেন জাবের আহমদ, সরওয়ার কামাল, দেলোয়ার হোসেন, ইসমাইল প্রমুখ। বাগান বস্তির নেপথ্যে রয়েছেন জাফর আলম, উম্মত আলী, শাহজালাল ছোটন, সলিম, ইসমাইল, ইউনুচ, হাফেজ আহমদ প্রমুখ। ছফর বাগান রোহিঙ্গা বস্তির নেপথ্যে রয়েছেন বেলাল, বার্মাইয়া সেলিম, গবি সুলতান প্রমুখ। উত্তর আলীখালী, দক্ষিণ আলীখালী, লামারপাড়া, রঙ্গীখালী, উলুচামরী, কুনাপাড়া, গাজীপাড়া ইত্যাদি গ্রামের বসত ভিটায়ও দেখা গেছে নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি।

এতদিন হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নে কোন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছিলনা। বর্তমানে উঞ্চিপ্রাং এর রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া এবং কেরুনতলী চাকমারকুল নামক স্থানে পৃথক ২টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প চালু করা হয়েছে। এই অস্থায়ী ক্যাম্প দু’টির সুবাদে পুরো এলাকায় রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়ছে। টেকনাফ জুড়ে এখন শুধু রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা। যে দিকে চোখ পড়ছে সে দিকে কেবল রোহিঙ্গার ঢল আর ঢল দেখা যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এ উপজেলা একেবারে রোহিঙ্গায় ছেয়ে গেছে। গ্রামে, রাস্তা ঘাটে, পাহাড়ে এবং নদীর ধারে শুধু রোহিঙ্গাদের বিচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভয়াবহ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দ্রব্যমুল্যসহ এখানকার জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। হাট বাজার এবং সড়ক একেবারেই রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। শহীদ এটিএম জাফর সড়ক (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে রাত দিন রোহিঙ্গাদের ঢল আর ঢল নামছে। রোহিঙ্গাদের ভীড়ের মাঝে যান চলাচলে খুবই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সড়কের দু’পাশে প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা অবস্থান করায় দুরপাল্লার যান চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দুই সড়ক ছাড়া বিকল্প আর কোন সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা আরো বেশী। দূরবর্তী কলেজ এবং স্কুল-মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অনেকে যান বাহন সংকটে স্কুল-কলেজে যেতে পারছেনা বলে জানা গেছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সমস্যা দিন দিন আরো প্রকট আকার ধারণ করবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। হাট বাজার এবং রাস্তাঘাটে দিবারাত্রি রোহিঙ্গাদের ভীড়ে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘুরাঘুরির সুযোগ না দিয়ে মানবিক কারণে তাদেরকে নির্দিষ্ট স্থানে রাখার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাইন উদ্দিন খাঁন জানান ‘লাখ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে ঠিক। তবে এখানকার আইন শৃংখলা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয় সে জন্য পুলিশের বিশেষ টীম দিন রাত কাজ করছেন। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না যেতে পারে সে জন্য সেনা বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ বলেন ‘মিয়ানমারে সংগঠিত ঘটনার পর ২৫ আগষ্ট থেকে অগণিত রোহিঙ্গা নারী পুরুষ এবং শিশু সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন। এখনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এদের অনেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আশে পাশের এলাকায় ঢুকে পড়লেও বেশীর ভাগ রোহিঙ্গা ভাসমান অবস্থায় রাস্তা ঘাটে হাট বাজারে অবস্থান করছেন। যান চলাচল থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রায় এর প্রভাব পড়ছে। অনুপ্রবেশেকারী রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট একটি স্থানে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি’।

উল্লেখ্য, অনুপ্রবেশকারী নতুন রোহিঙ্গা ছাড়াও টেকনাফের ১টি রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প, লেদা ও শামলাপুর ২টি অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ঝাউ বাগান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, উপজেলার বিভিন্ন লোকালয়ে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বসবাস করছে দীর্ঘ দিন থেকে। এদের বসবাস অনেকটা স্থায়ী। ভাসমান আছে আরও অন্ততঃ ৫০ হাজারের মতো।

১৯৭৮ সালে আসা কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করার পর শেষের দিকে বিভিন্ন জঠিলতায় প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হয়ে থেকে যায়। তারা শুধু টেকনাফ উপজেলা নয়, দেশের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছিল। অনুসন্ধান করলে তাঁদের অনেককে বর্তমানে সরকারী চাকুরীতে পাওয়া যাবে। তাঁদের অনেকে “আমরা ৭৮ সালের রিফিউজি” বলে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করেন। অনেকেই প্রতিষ্টিত, জমি-গাড়ি-বাড়ির মালিক। সিংহ ভাগই বাংলাদেশী পরিচয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলে গিয়েছে।

এরপর টেকনাফ সীমান্তে রোহিঙ্গার ঢল নামে ১৯৯১ সালে। আর্ন্তজাতিক চাপে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিলেও একইভাবে প্রত্যাবাসন করার পর শেষের দিকে বিভিন্ন জঠিলতায় প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হয়ে উখিয়ার কুতুপালং এবং টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পে থেকে যায়। টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে ৩ হাজার ৭০৯ পরিবারের ১৯ হাজার ৫৫৬ জন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে। ১৯৯২ সনের সেপ্টম্বরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকার ইউএনএইচসিআরের সহায়তায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করে। সর্বশেষ ২০০৪ সনে স্থগিত হয়ে ২০০৫ সনে একেবারেই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে।

২০০০ সালে টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে দলে দলে আবারও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটে। এরা টেকনাফ হাসপাতালের সামনে খোলা মাঠে, উপকুলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের ঝাউবাগানে, সৈকতে, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, উপজেলার বিভিন্ন লোকালয়ে, উখিয়ার কুতুপালং বস্তি গড়ে তুলে। এসব বস্তিকে বলা হয় “রোহিঙ্গা টাল”। টেকনাফের রোহিঙ্গা টাল ২০০১ সালে দমদমিয়া কেয়ারী ঘাটের পাশে পরবর্তীতে ২০০৮ সালে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদায় স্থানান্তর করা হয়। এখনও সেখানে রয়েছে।

লেদা “রোহিঙ্গা টাল” এর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ আয়ুব জানান এ বস্তিতে বর্তমানে ২ হাজার ৯২ পরিবারের ১৫ হাজার তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা বসবাস করছে। নতুন আসা আরও সমপরিমাণ রোহিঙ্গা আতœীয় এবং পুর্ব পরিচিতের সুত্রে আশ্রয়ে রয়েছে। তাছাড়া বস্তির বাইরে বনভুমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে ঝুপড়ি করে বসবাস করছে আরও কমপক্ষে প্রায় ৫ হাজার পরিবারের প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আরাকান রাজ্যে (রাখাইন স্টেট) সহিংস ঘটনার পর ৯ অক্টোবরের পরে অনুপ্রবেশ করে বেশ কিছু রোহিঙ্গা। সপরিবারে এবং পরিবার বিহীন দলে দলে আসা এসব রোহিঙ্গা আশ্রয় নেন নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প, লেদা ও শামলাপুর ২টি অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ঝাউ বাগান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং উপজেলার বিভিন্ন লোকালয়ে। এদের সঠিক কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও অন্ততঃ ৩০ হাজারের কম হবেনা।

টেকনাফের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বা বনভুমির উপর কি পরিমাণ রোহিঙ্গা আছে তা জানতে চাইলে টেকনাফের রেঞ্জ অফিসার তাপস দেব বলেন ‘দলে দলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার কয়েক মাস আগে করা সর্বশেষ হিসাব মতে শুধু টেকনাফ উপজেলায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা সরকারী বন ভুমিতে বসবাস করছে’।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ জাহিদ হোসেন সিদ্দিক বলেন ‘কবরস্থানে বা ব্যক্তি উদ্যোগে নিজস্ব জমিতে রোহিঙ্গাদের জন্য বস্তি করার কোন সুযোগ নেই। এখন প্রথম দিকে একটু এলোমেলো হলেও ক্রমান্বয়ে সব রোহিঙ্গাকে সরকার কতৃক নির্ধারিত একই স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। নিষেধ করে বার বার প্রচারণা সত্বেও বস্তি সৃষ্টি করে যারা রোহিঙ্গাদের ভাড়া দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ##