ডেস্ক নিউজ:
মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আশ্রয় যখন দিয়েছি, ভালোভাবে রেখে সম্মানের সঙ্গে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও নেব।’
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে শনিবার সকালে দেশে ফিরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে নোয়াখালীর ভাসানচরে রাখা হবে বলেও এ সময় জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা ইস্যু উপস্থাপনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে এই গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।
মানবিকতার বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের আস্থা ছিল, বিশ্বাস ছিল, সমর্থন ছিল বলেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া হয়। এ কারণে বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত হচ্ছে, ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে, যা কিছু অর্জন হচ্ছে— তার সবই তাই এদেশের মানুষের কল্যাণে, তাদের সমর্থনে ও দোয়ায়।
জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্যে তিন সপ্তাহের সফর শেষে শনিবার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী গণভবনের উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। এই যাত্রাপথে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ ফুল ও বাদ্যযন্ত্র, রঙবেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার এবং জাতীয় পতাকা হাতে অভিনন্দন জানান। সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে পৌঁছান। এ সময় এসএসএফের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।