বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১২ জুলাই, ২০১৭ ১১:২৯

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


  • মোহাম্মদ শাহজালাল

    জমজ দুই ছেলে, আজগর আর আকবর বয়স আট মাস। দুই ছেলে নিয়ে খুব ব্যস্ত নুর আয়েশা। স্বামী ভোরে নামাজ পড়তে গিয়ে এখনো ফিরেনি। এক ছেলে কোলে আরেক ছেলে দোলনায়। আগুন ধরাতে আজ খুব ক্লান্ত। ফুঁ  দিতে দিতে চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। নাকে চোখে পানি, শাড়ীঁর আচঁল দিয়ে মোছার নিছক চেষ্টা করে চলেছে। রান্না এখনো কিছুই হয়নি,স্বামী আসলে কী খেতে দেবে? কোলের শিশু মাটিতে রেখে বাড়ি থেকে বের হয়। শুকনো পাতা সহ গাছের ঢাল সংগ্রহ করে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে। আগুন জ্বালানোর জন্য চুলায় কিছু শুকনো পাতা দেয়। তখনই আগুনের মত জ্বলে উঠে দোলনার শিশু । আগুন জ্বালানো বন্ধ করে দোলনার শিশু কোলে নিতেই কেঁদে উঠে মাঠিতে থাকা শিশু আজগর। আকবর এবং আজগরের মধ্যে গভীর একটা সম্পর্ক। একজন কাঁদলে আরেক জনও কাঁদে।
    আকবর এবং আজগরকে লালন পালন করতে হিমশিম খেতে হয় নুর আয়েশাকে। তারপরেও বিরক্ত না। অনেকেই একটি শিশু দত্তক চেয়েছেন কিন্তু না করে দিয়েছে। নিজে কষ্ট করবে তারপরেও নিজের শিশু অন্যের কাছে দিতে রাজি না নুর আয়েশা। কুকুর বিলাসী ঘেউ ঘেউ করে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। অন্য দিনের চেয়ে ভিন্নভাবে। কুকুর বিপদের আগাম সংকেত পায় বলে সবার ধারণা। নুর আয়েশা দৌড়েঁ এসে মাটির শিশু কোলে নিয়ে বের হয়। দোলনার শিশু দোলনায় রয়ে যায়। ছেলে কোলে নিয়ে গলির মুখে দাঁড়িয়ে থাকে। বিলাসী ওদের পেছন পেছন আসে। নুর আয়েশা খুব অস্থির, বিচলিত, খুব চিন্তিত স্বামী না ফেরার কারণ জানে না। বিলাসী ঘেউ ঘেউ করতে করতে মেইন রোডের দিকে চলে যায়। খোদার নাম জপতে জপতে অপেক্ষা করে নুর আয়েশা। হঠাৎ চারদিক প্রকম্পিত হয় বিকট শব্দে। নুর আয়েশা শিশু পুত্রকে নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এক মুহুর্তের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু হয়।এক হাত কানে অন্য হাতে শিশুকে আগলে রাখে। বিলাসী ফিরে আসে। নুর আয়েশার আঁচল ধরে টানতে থাকে। নুর আয়েশা নিস্তব্দ, কোন কথায় নেই, নেই নড়াচড়া। বিলাসী কানের কাছে এসে ঘেউ ঘেউ করে শাড়ির আচল টানে। নুর আয়েশার জ্ঞান ফিরে আসে।
    সে উঠে কোন রকম হাটা শুরু করে। তারা বাড়ি পৌছালে দেখে বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ভেতরে শিশুর কান্নার আওয়াজে প্রকম্পিত হচ্ছে আকাশ বাতাস। মা কোল থেকে পুত্রকে মাটিতে রেখে আগুনে ঝাপ দিতে গিয়ে র্ফিরে আসে।
    মাটিতে রাখা শিশুকে কোলে নিয়ে চুমু খেতে খেতে মাটিতে বসে পড়ে। কপাল আর মাটি চাপড়াতে চাপড়াতে বিলাপ ধরে কাঁদে। কান্নার আওয়াজ শুনে কেউ আসে না। সবাই যে যার মত পালাতে থাকে দেশ ছেড়ে। বিলাসী ঘেউ ঘেউ করে চলেছে অনবরত। বাড়ী পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। দোলনার শিশুর আওয়াজ বন্ধ হয়েছে। হয়তো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আয়েশা মূর্ছা গেছে। বিলাসী এদিক সেদিক ঘুরে আয়েশার আঁচল ধরে টানে। আয়েশার মুখে কথা নেই, নেই জ্ঞান। বিলাসী বসে পড়ে তাদের পাশে। কোলের শিশু কান্না শুরু করে। কিছুক্ষণ পর আয়েশা জেগে ওঠে। চোখে পানি, মুখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। শিশু কোলে নিয়ে উঠে দাড়ানোর কোন ক্ষমতা নেই, নিস্তব্দ। বিলাসী আয়েশার দিকে চেয়ে থাকে। বুঝতে পারে সন্তান হারানো কত যন্ত্রণা। কয়দিন আগে বিলাসীর বাচ্চা চুরি হয়েছে ।
    অজানা পথে যাত্রা করে নুর আয়েশা। তাদের গন্তব্য নিরাপদ আশ্রয়। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধ্যানে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে তাদের যাত্রা। ঘর সহায় সম্পত্তি ছেড়ে অনেকেই আপনজন ফেলে এসেছে।
    ঘটনার আটদিন পর, … চেহারা চেনার কোন উপায় নেই। শরীরের মাংশ না থাকলে মানুষ নামক প্রাণী চেনার কোন উপায় থাকে না! নিজের চেহারা আয়নায় দেখলে নিজেকেও চিনতে কষ্ট হবে। তারা একসাথে শ‘খানেক মানুষ পাহাড়ের ডালুতে আশ্রয় নেয়।
    বিলাসী একমাত্র পোষমানা কুকুর নয়। পৃথিবীর সকল প্রাণীর মধ্যে বেশি পোষ মানে কুকুর। বিলাসীকে ভোর হওয়ার পূর্বে তাড়িয়ে দেয়। বিলাসীও তাদের ছেড়ে চলে যায়। বিলাসী আট দিন তাদের সাথে ছিল। ছেড়ে যেতে না চাইলেও যেতে হবে। নুর আয়েশা হুকুম দিলে বিলাসী বসে থাকে । নূর আয়েশা যা বলে তাই করে। নুর আয়েশা বিলাসীকে তাড়িয়ে দিতে চাইনি কিন্তু সন্তানের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তাড়িয়ে দেয়। বিলাসী অবলা জীব তার চেয়ে অবলা নুর আয়েশা। নুর আয়েশারা অবলা ছিল না। কিন্তু সংখ্যালঘুরা মাঝেমাঝে অবলা হয়ে পড়ে। তারা সংখ্যালঘুর দলে। তাদের জীবন ঝুঁকিতে থাকে। বাঁচতে চাইলেও মাঝেমাঝে বাঁচা সম্ভব হয় না।
    কোলের শিশুকে দুধ পান করাতে না পারার ব্যথা অসহ্য হয়ে উটে। পুত্র ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে ওঠে দুধ পান করার জন্য কিন্তু মায়ের বুকে দুধ নেই। তারপরেও ফোলা বেলুন চোষার মত চোষে ক্লান্ত হয়ে নিস্তব্দ হয়। তাদের সাথে থাকা অনেকে নুর আয়েশার পুত্রকে দুধ দিতে এসেছেন কিন্তু কারো বুকে এক ফোঁটা দুধ নেই। থাকবেই বা কি করে তারা অনাহারে আট দিন। চামড়ার সাথে হাড়ের যে সম্পর্ক তা এখন ভালোই বুঝা যাচ্ছে। আর ক‘দিন পর দুধ না পেয়ে মারা পড়বে শিশুটি। আরো অনেক শিশু এইভাবে মারা যাবে মায়ের সামনে। সকাল হয়ে আসে চারদিকে কুয়াশায় ডাকা, প্রচন্ড শীত। শীত সহ্য হলেও ক্ষুধা অসহ্য হয়ে পড়ছে। যাই হোক, একজন এসে খবর দেয় মিলিটারির টহল নেই, সীমানা পাড়ি দিলে তাড়াতাড়ি যেতে হবে। সবাই দ্রুত উঠে পড়ে যাত্রা শুরু করে।
    নুর আয়েশা উঠতে চেয়েও উঠতে পারে না। মধ্য বয়স্কা মহিলা হাত ধরে নুর আয়েশাকে উঠতে সাহায্য করে। নুর আয়েশা প্রশ্ন করে, “বাংলাদেশ আর কতদূর?” মহিলা উত্তরে বলেন, “ঘন্টাখানেক হাটলে মিলিটারি ক্যাম্প, তারপর নাফ নদী। নাফ নদী পার হতে পারলেই বাংলাদেশ।’
    স্বস্তি পায় নূর আয়েশা। বাংলাদেশ যেতে পারলেই যেন বাচে। থাকার ব্যবস্থা হবে, হবে খাওয়ার ব্যবস্থা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনায় অনেকে পালিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে বাংলাদেশে। নূর আয়েশা একটা কথায় ভাবে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে । মৃত পুত্রের শোক কিংবা স্বামীর জন্য কোন আপসোস নেই। আপসোস শুধু বেঁচে থাকা সন্তানকে দুধ দিতে না পারার। দলে দলে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। নূর আয়েশা এবং মধ্যবয়স্ক মহিলা সবার পিছনে। নূর আয়েশাকে ধরে ধরে দুজনে হাঁটে। কিছু দূর পথ হাঁটার পর ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে। কেউ কারোর জন্য দাঁড়িয়ে নেই। মধ্যবয়স্ক মহিলা নূর আয়েশার সাথে ছায়ার মত লেগে আছে। নূর আয়েশা মহিলাকে বলে, “মিলিটারি এলে গুলি করবে মারা পড়বেন, আপনি যান”। মহিলা বলেন, “মৃত্যুকে কবেই কবুল করে নিয়েছি ! মৃত্যু !………. মিলিটারি এলে তুমিও মারা পড়বে, আমিও তোমার সাথে মরতে চাই।” ওদের কাছে মৃত্যু এখন অমূলক শব্দ। মৃত্যু চিরাচারিত নিয়ম, কিন্তু নিয়মটা যেন অনিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখন কিভাবে মৃৃত্যু হবে তার কোন কিছুই জানা নেই। বিলাসী এসে পড়ে। নূর আয়েশা খুশি হয়, কিন্তু প্রকাশ করে না। বিলাসী লেজ নাড়তে থাকে তাদের সামনে। লেজ নেড়ে কিছু বলার চেষ্টা করে। কুকুরের ভাষা না বুঝলেও তাদেরও ভাষা আছে, আছে ভালবাসা। আছে ভক্তি শ্রদ্ধা। নূর আয়েশার সামনে বিলাসী বসে পড়ে। তখনও লেজ নাড়তে থাকে। জিহ্বা বের করে নিজের দুধের বাট নিজেই চাটে। তারপর নূর আয়েশার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের দৃষ্টি সেদিকে নেই। শিশু পুত্র কেদেঁ উঠে। কান্নার আওয়াজ কমে হয়ে গেছে, মুখ দেখলেই বুঝা যায় কাঁদছে। কান্নার আওয়াজ কানে পৌছানোর মতো না। মায়ের সামনে সন্তানের কান্না অসহ্য যন্ত্রণার। নূর আয়েশার কাঁদার শক্তি না থাকলে ও চোখের কোণায় পানি জমা হয়। বিলাসী উঠে নূর আয়েশার শাড়ির আচঁল ধরে টানে, টেনে বসে পড়ে নিজের বাট নিজেই চাটে তখনও তাদের দৃষ্টি বিলাসীর দিকে নেই। বিলাসী ঘেউ ঘেউ করে উঠে। ঘেউ ঘেউ শব্দ যেন অন্য রকম অন্য দিনের চেয়ে। মাটি থেকে উঠে বুকে থাকা শিশুর দেহে মুখ লাগিয়ে একটু চেটে দিয়ে শুয়ে পড়ে। মধ্যবয়স্কা শিশুটিকে নূর আয়েশার কোল থেকে নিয়ে বিলাসীর দুধের বাটে মুখ লাগিয়ে দেয়। কয়েক মুহুর্ত নিস্তব্ধ থেকে ধীরে ধীরে চুষতে থাকে শিশুটি। তখন বিলাসীর অব্যক্ত আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। মাসখানেক আগে বিলাসীর চার বাচ্চা রাতের আধারে চুরি হয়ে যায়। বিলাসীও জানে সন্তান হারানো কত কষ্টের। আসার পর থেকে বিলাসী এটাই চেয়েছিল কিন্তু নূর আয়েশা হয়তো বুঝতে পারেনি। নূর আয়েশার মুখে হাসি ফোটে।
    মানুষের দুধ না কুকুর দুধ তা প্রশ্ন নয়, তার সন্তান দুধ পান করছে তা বড় কথা। শিশুকে মহিলা কোলে নিয়ে বিশ্রাম দেয়। তখন বিলাসীর গুটিয়ে থাকা লেজ নাড়ে। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর পুনরায় দুধ পান করায়। সন্তান দুধ খেতে পাওয়াতে সজীবতা ফিরে পায় নূর আয়েশা। বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে যাত্রা করে। মাঝেমাঝে বিলাসী পথে বসে পড়ে এবং নূর আয়েশার পুত্রকে দুধ পান করানো হয়। কি অদ্ভুদ বিষয়! একটা শিশুর শেষ অবলম্বন একটা কুকুর। কুকুর নয়, মাতৃজাত। তারা সীমানার কাছাকাছি চলে আসে আরেকটু পথ হাটলেই বাংলাদেশ। কিন্তু তারা দেখে একটা পাহাড়ের ঢালুতে অসংখ্য মানুষ। তারা তাদের সাথে যোগ দেয়। অনেকেই বাংলাদেশের সীমানা দেখে স্বস্তি বোধ করে। পাহাড়ের পরে মিলিটারি ক্যাম্প। রাতের আধাঁরে বাংলাদেশে পাড়ি দিতে হবে। সবাই ক্ষুধার্ত কে কতদিন অনাহারে জানে না। ক্ষুধার জ্বালায় লোপ পেয়েছে বিবেক বুদ্ধি আদর মায়া। কেউ কেউ গা এলিয়ে দিয়ে দখিনা বাতাসে ঘুমিয়ে গেছে। না খেয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মিলিটারির হাতে মারা যাওয়াই ভালো ছিলো অনেকেই ভাবে। কিন্তু জীবন তো এত সহজে প্রাণ হারাতে চায় না। জীবন বাঁচাতে জন্মভুমি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ।
    দুপুর নাগাদ গ্রামের দু যুবক তাদের নিয়ে যায় । সেখানে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ক্লান্ত শরীর, এর উপর অনেক দিন পরে পেট ভরে খেতে পেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে অনেকেই।
    কিন্তু শান্তির ঘুম স্থায়ী হয় না। গ্রামের বেশ ক’জন যুবক তাদের সাহায্য করে বাংলাদেশে পৌছাতে। সীমানার গ্রামগুলোতে এখনও সহিংসতা নেই। মিলিটারি ও গ্রামবাসীর মধ্যে কোন সমস্যা নেই। তারপরেও ভয়ের মধ্যেই আছে। যারা দেশ ছাড়ছে তাদের সাহায্য করে তারা।
    যাইহোক নুর আয়েশা যখন নৌকায় পা রাখে, তখন মনে হয় একটা অন্ধকূপ হতে আলোতে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে। পুত্রের মুখের দিকে চেয়ে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে। নিজের অজান্তে হেসে উঠে। সবাই চেয়ে থাকে তার দিকে। কোন আক্ষেপ নেই, নেই ঘৃণা। শুধু পুত্রের নিষ্পাপ মুখ সবকিছু ভুলিয়ে দিয়েছে। অন্য দিকে চটপট করে বিলাসী। তার জন্য নৌকায় জায়গা নেই। তার প্রতি কোন ভালবাসা নেই । ঘেউ ঘেউ করে কেঁদে উঠে।
    এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করে। কোন লাভ নেই। মানুষের দুঃখ সবাই বোঝে। কারণ তারা বুঝাতে সক্ষম। অবলা প্রাণীর দুঃখ থাকতে নেই। নৌকা নদীর মাঝখানে চলে আসে। আয়েশার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ে। দুঃখ কষ্ট ব্যাথা বেদনার বহিঃপ্রকাশ শুধু চোখের জলে হয়। হালকা হওয়া বুক ভারী হয়ে উঠে। বিলাসীর জন্য যতটা না, তার চেয়ে বেশী জন্মভূমি ছাড়তে। সন্তানের কাছে মা, মায়ের কাছে সন্তান আর একজন মানুষের কাছে তার জন্মভূমি কতটা প্রিয় হয়তো ভাষা বিজ্ঞানীরাও ঠিকমত ব্যাখা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। দুই পাড়ে দুই দেশ একটিতে অতীতের অন্ধকারময় স্মৃতি অন্যটিতে বেঁচে থাকার স্বপ্ন।
    যখন জন্মভূমি ব্যার্থ হয় সন্তানকে বুকে আগলে রাখতে, তখন কী কোন ভূমি থাকে না? আশ্রয়হীন, অসহায় সে সব সন্তানদের বুকে একটু জায়গা দিতে? হ্যা, অবশ্যই সে রকম একটি দেশ আছে। কোনভাবে ছোট নয়, কিন্তু আয়তনে ছোট। মানবতার শীর্ষে একটি নাম “বাংলাদেশ”।