সোয়েব সাঈদ, রামু:

মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আলম বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেই দেশের ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে এখন শিক্ষিত বেকার তৈরী হচ্ছে। অথচ কারিগরি দক্ষতা থাকলে কেউ বেকার থাকবে না। রামুতে প্রতিষ্ঠিত শহীদ এটিএম জাফর আলম মাল্টি ডিসিপ্লিনারী একাডেমি এ ধরনের বেকারত¦ দূর করে একটি যুগোপযোগি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। অনেকে কারিগরি কাজে অভিজ্ঞ হলেও সনদ না থাকায় দেশে-বিদেশে কর্মস্থলে খুবই কম বেতন পান। কিন্তু গারিগরি কাজের সনদপত্র থাকলে তারা অনেক বেশী বেতন পাবে। এজন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরী করার বিকল্প নেই।

আজ শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের বলিপাড়ায় শহীদ এটিএম জাফর আলম মাল্টি ডিসিপ্লিনারী একাডেমি ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আলম এসব কথা বলেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নান, কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লুৎফুর রহমান, খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক আবদুল মাবুদ, রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম প্রমূখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, শহীদ এটিএম জাফর আলম মাল্টি ডিসিপ্লিনারী একাডেমি উদ্বোধনের মাধ্যমে পর্যটন জেলা কক্সবাজারের শিক্ষা ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানকে বিশ^মানের এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ দেয়ার জন্য তিনি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

সহকারি কমিশনার ফারজানা প্রিয়াংকার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী হিল্লোল বিশ^াস, কক্সাবাজার জেলা যুবলীগ সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াছমিন, রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) চাই থোয়াইহ্লা চৌধুরী, রামু থানার ওসি মো. আবুল মনছুর, ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান।

উল্লেখ্য জেলার কৃতি সন্তান মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আলমের বড় ভাই এটিএম জাফর আলম ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ এটিএম জাফর আলমের ম্মৃতিকে অম্লান করতেই তাঁর নামে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে। ১৫৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।